—ফাইল চিত্র
পরপর দু’বছর পঞ্চমস্থানে। এ বার তিন ধাপ পিছিয়ে অষ্টমে। ‘অটল র্যাঙ্কিং-২০২১’-এ পিছিয়ে পড়েছে খড়্গপুর আইআইটি। অথচ চলতি বছরেই ‘কিউএস’ আর্ন্তজাতিক র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছে প্রতিষ্ঠান। গবেষণায় মানোন্নয়নে মিলেছে ‘কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি’র পুরস্কার। তাহলে কেন অটল র্যাঙ্কিংয়ে অবনমন? এ ক্ষেত্রে বিচারের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে আইআইটিতে।
মূলত গবেষণার উপর নির্ভর করে হওয়া এই র্যাঙ্কিংয়ে ‘ইনস্টিটিউট অফ ন্যাশনাল ইমপর্টেন্স’ বিভাগে অষ্টমস্থান পেয়েছে খড়্গপুর আইআইটি। ২০১৯ ও ২০২০- পরপর মিলেছিল পঞ্চমস্থান। বরাদ্দ-ব্যয়, আয়, গবেষণার পরিকাঠামো, গবেষণা সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার, উদ্যোগ-উন্নয়ন, বাণিজ্যিকীকরণ, গবেষণামূলক শিক্ষাপদ্ধতির মতো বিষয় বিচার করেই এই র্যাঙ্কিংয়ে হয়। এ বার তাতে পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রার তমাল নাথ বলেন, “বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে। করোনার জন্য দীর্ঘ কয়েকমাস প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া না থাকায় গবেষণায় সামান্য প্রভাব তো পড়েছেই। তবে করোনার সময়েও কিন্তু করোনা পরীক্ষার কিট-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চলেছে।”
গবেষক ও অন্য পড়ুয়াদের প্রতিষ্ঠানে ফেরার অনুমতি দেওয়া হলেও এখনও অনলাইনেই চলছে ক্লাস। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক অধ্যাপক বলেন, “করোনায় আমাদের বিভাগের গবেষণায় অনেক প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘদিন পরীক্ষাগারও বন্ধ ছিল। এ সব প্রভাব হয়তো র্যাঙ্কিংয়ে দেখা হতেই পারে।” তবে অনেক অধ্যাপক মনে করিয়ে দিচ্ছেন, করোনাকালেই গবেষণায় খড়্গপুর আইআইটির গবেষকরা কোভিড পরীক্ষার কিট ‘কোভির্যাপ’ আবিষ্কার করেছেন। প্রতিষেধকের জন্য উদ্ভাবন হয়েছে ব্যথাহীন নিডল। টেলি মেডিসিনের গবেষণায় মিলেছে সাফল্য। হয়েছে বাণিজ্যিকীকরণও।
চলতি বছরেই কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে খড়্গপুর আইআইটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ৩১৪ থেকে ২৮০ নম্বরে উঠেছে। এ বার প্রথম দেশের ‘কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি’ (সিআইআই) ১৭টি ক্ষেত্রের সঙ্গে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষণার উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাতে একমাত্র এই খড়্গপুর আইআইটি গত নভেম্বরে পুরস্কৃত হয়েছে। ফলে, অটল র্যাঙ্কিংয়ে কেন অবনমব, প্রশ্ন থাকছেই। খড়্গপুর আইআইটির রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিন অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী বলেন, “আমি ২০বছর আইআইটিতে রয়েছি। করোনার জন্য হয়তো গবেষণার সংখ্যায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে করোনাকালে আমাদের যে গবেষণা চলেছে তার গুণমান গত কয়েক বছরের গবেষণাকে হার মানাবে। জানিনা অটল র্যাঙ্কিং কোন মানদণ্ডে বিচার করা হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy