খড়্গপুর স্টেশন। —ফাইল চিত্র।
প্রথম বন্দে ভারতের ছোঁয়া না পেলেও, রাজ্যের দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছিল এই ডিভিশন। গত এপ্রিলে পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত দৌড়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের উপর দিয়ে। উচ্ছ্বাসে ভেসেছিলেন যাত্রীরা! এ বার দেশের সর্বপ্রথম অমৃতভারত এক্সপ্রেস ছুটবে খড়্গপুর ডিভিশনের উপর দিয়েই। উদ্বোধনী যাত্রায় মালদা টাউন-বেঙ্গালুরু অমৃতভারত এক্সপ্রেসকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে ডিভিশনের মোট ছ’টি স্টেশন!
আজ, শনিবার উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা থেকে দেশের সর্বপ্রথম দু’টি অমৃতভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই দুই ট্রেনের একটি ছুটে যাবে খড়্গপুর ডিভিশনের উপর দিয়ে। শুধু ছুটে যাওয়াই নয়, খড়্গপুর ডিভিশনের ছ’টি স্টেশনে দাঁড়াবে এই এক্সপ্রেস। সেই তালিকায় রয়েছে আন্দুল, খড়্গপুর জংশন, বেলদা, জলেশ্বর, বালেশ্বর ও সোরো স্টেশন। সেই উপলক্ষেই এই ছ’টি স্টেশনেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ট্রেনটিকে স্বাগত জানাতে চলেছে খড়্গপুর রেল ডিভিশন। তবে ডিভিশনের সদর হওয়ায় খড়্গপুর স্টেশনে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বাকি পাঁচটি স্টেশনেও ওই অনুষ্ঠান হবে। ট্রেনে পৌঁছনোর এক ঘণ্টা আগে থেকেই ওই অনুষ্ঠান শুরু হবে বলে ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অন্য দিন সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে মালদা টাউন স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করলেও, শনিবার উদ্বোধন হবে সকাল ১১টায়। তার পরে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনের ডানকুনি হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের আন্দুল স্টেশনে ঢুকবে এই ট্রেন। খড়্গপুর স্টেশনে শনিবার ওই ট্রেন পৌঁছবে সন্ধ্যা ৭টায়। তবে অন্য দিন খড়্গপুর স্টেশনে ওই ট্রেন পৌঁছনোর নির্ধারিত সময় রয়েছে বিকেলে ৫টা ৪৫ মিনিট। বেলদায় অন্যান্য দিন ওই ট্রেন দাঁড়াবে সন্ধ্যা ৬টা ১৯ মিনিটে। খড়্গপুর রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার ওমপ্রকাশ চরণ বলেন, ‘‘আমাদের ডিভিশনের ছ’টি স্টেশনে এই অমৃতভারত এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াবে। অযোধ্যা থেকে পতাকা দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। তবে এই ট্রেনে আমাদের ডিভিশনের যাত্রীরাও উপকৃত হওয়ায় আমরাও ওই ছ’টি স্টেশনেই ট্রেনটিকে স্বাগত জানাব।’’
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অমৃতভারত ট্রেনটি কার্যত দেশে সাধারণের বন্দে ভারত নামে পরিচিত হতে চলেছে। কারণ এতে রয়েছে বন্দে ভারতের মতোই দু’দিকে ইঞ্জিনের সাহায্যে পুশ-পুলের সুবিধা। এর জেরে ইঞ্জিন বদলে সময় নষ্ট হবে না। তবে এই ট্রেনে থাকবে না কোনও বাতানুকূল কামরা। সাধারণ কামরা হলেও প্রতিটি আসনের সঙ্গে থাকছে চার্জিং পয়েন্ট। ট্রেনের শৌচাগারও হয়েছে বন্দে ভারতের আদলে। এমনকি ট্রেনের ভিতরেই পরবর্তী স্টেশনের নাম ও কত বেগে ট্রেনটি ছুটছে তা-ও ডিসপ্লে’তে ফুটে উঠবে। সঙ্গে চলবে ঘোষণাও। যাত্রী সুরক্ষায় প্রতিটি কামরায় থাকছে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy