প্রতীকী ছবি।
দলের কাজে সক্রিয় ভাবে ফিরলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর উজ্জ্বল দত্ত। জানা যাচ্ছে, বিজেপিতে যাওয়ার চেষ্টা করেও তিনি সফল হননি। আর তারপরেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার সাঁকরাইল ও বেলপাহাড়িতে কুণাল ঘোষের জনসভায়। সেখান থেেক গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সুরও চড়িয়েছিলেন তিনি। শনিবার জেলাশাসকের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মুর সঙ্গে হাজিরও হলেন তিনি।
ভোটের আগে উজ্জ্বল বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তাই তিনি নিজে থেকেই দলের কাজে ফেরায় আপাতত স্বস্তিতে জেলা তৃণমূল। একই সঙ্গে স্বস্তিতে গেরুয়া শিবিরও! কারণ, উজ্জ্বলের বিজেপি যোগের সম্ভবনা বাইরে আসতেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিচুতলার বিজেপি কর্মীদের একাংশ। বিশেষত, নয়াগ্রাম ব্লকের চাঁদাবিলা ও নয়াগ্রাম মণ্ডলের বিজেপি নেতা-কর্মীদের একটি বড় অংশ উজ্জ্বলকে দলে না নেওয়ার জন্য নানা মহলে দরবার করেন।
উজ্জ্বল নিজে অবশ্য তাঁর বিজেপি যোগের সম্ভবনার কথা স্বীকার করেননি। তাঁর দাবি, ‘‘এক-দু’মাস আমাকে দলীয় কর্মসূচিতে না দেখে নানা মহল থেকে জল্পনা উস্কে দেওয়া হচ্ছিল। অন্য দলে যাওয়ার ব্যাপারে কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। পুরোটাই মিথ্যা প্রচার।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন দোরগোড়ায়। এই সময়ে বসে থাকাটা সমীচীন নয়। দীর্ঘদিনের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ভাবে দলের কাজ শুরু করেছি। ’’
উজ্জ্বল মুখে যাই বলুন, ঘটনা হল প্রাপ্য সম্মান না পাওয়ার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই দলে নিষ্ক্রিয় ছিলেন ওই নেতা। সূত্রের খবর, পিকে টিমের কর্মসূচি নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। কিছুদিন আগে সমাজমাধ্যমে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে দাবি করেছিলেন, তাঁর প্রোফাইল হ্যাক হয়েছিল। তৃণমূলের নতুন স্লোগানের সূচনা অনুষ্ঠানেও ছিলেন না তিনি।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একসময়ে সুসম্পর্ক ছিল উজ্জ্বলের। সেই কারণে জেলা তৃণমূলের একাংশ উজ্জ্বলকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছিলেন। গত ডিসেম্বরে উজ্জ্বলকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়ে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতিতে কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ানো হয়নি বলে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন উজ্জ্বল।
বিজেপি সূত্রের দাবি, উজ্জ্বলকে দলে নেওয়ার জন্য বিজেপির রাজ্য স্তরের এক নেতা উদ্যোগীও হন। জেলার অসংরক্ষিত কোনও একটি আসনে প্রার্থী করা হলে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে উজ্জ্বলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়েছিল। তবে সেই পরিকল্পনা মাঝপথেই থমকে যায়। বিষয়টি আঁচ করে উজ্জ্বলও তৃণমূলের মূলসূত্রে ফিরে এসেছেন।
এই পরিস্থিতিতে উজ্জ্বলের বিষয়ে সাবধানী গেরুয়া শিবিরও। জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয়স্তরের নেতা-কর্মীদের মতামত ও ভাবাবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি জুড়েছেন, ‘‘উজ্জ্বলবাবু বিজেপির কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সেটা আমার জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy