তমলুক থেকে গ্রেফতার ফরিদ
দিল্লির জহাঙ্গিরপুরীতে গোষ্ঠী সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে ধৃত শেখ ফরিদ ওরফে নীতুর বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সত্য নয় বলে দাবি পরিবারের। নীতু আদতে হিংসা থামানোরই চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করল তাঁর পরিবার।
জহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার পর তমলুকের ধলহরায় আত্মীয়ের বাড়িতে এসে উঠেছিলেন নীতু। বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। গ্রেফতারের পর নীতুকে নিয়ে আসা হয় তমলুক থানায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ছোট বোন সাবিনা। তবে তাঁকে দাদার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। থানার বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে সামিনা জানান, তাঁদের জন্ম দিল্লিতেই। বাবা, মা মারা যাওয়ার পর ফরিদই সংসারের হাল ধরেছিলেন। জহাঙ্গিরপুরীতে একটি মাংসের দোকানও রয়েছে তাঁর।
সাবিনার অবশ্য দাবি, হিংসার ঘটনার দিন দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষ আটকাতে চেয়েছিলেন ফরিদ। পরে অভিযুক্তের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে জানতে পেরেই তমলুকে চলে এসেছিলেন তিনি। সাবিনার কথায়, ‘‘যে দিন দিল্লিতে পাথর ছোড়া হয়, সে দিন দাদা ওখানেই ছিল। তবে পাথর যাঁরা ছুড়েছিলেন, তাঁদের থামানোর চেষ্টা করছিল দাদা। পরে অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে জানতে পেরেই দিল্লি থকে তমলুকে চলে এসেছে ও।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, জহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় সক্রিয় ভূমিকা ছিল ফরিদের। ওই ঘটনার পর ট্রেন ধরে তিনি প্রথমে হাওড়া, তার পর সেখান থেকে বাস ধরে সোজা চলে আসেন তমলুকে আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানেই এত দিন ঘাপটি মেরেছিলেন নীতু। এর পর মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের পাঁচ সদস্যের দল। সূত্রের আরও দাবি, ২০১০ সাল থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই-সহ একাধিক আইনে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। নীতুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সাবিনা অবশ্য বলছেন, ‘‘পুলিশ আমায় বলেছে, এখানে দাদার বিরুদ্ধে কোনও কেস নেই। ওঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই মামলা চলছে।’’ প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবারই ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে ফরিদকে। কিন্তু সাবিনা জানান, শুক্রবার দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দাদাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy