Advertisement
১১ জানুয়ারি ২০২৫
Nandigram

সাসপেনশন ‘অবৈধ’, অখিল মনসুরাদের পাশে

দলবিহীন জনসংযোগ চালাচ্ছেন শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীরা। এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর বিধানসভা এলাকায় অধিকারীদের বিরোধী শিবিরের এমন ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৩১
Share: Save:

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব, নন্দীগ্রামের বিধায়কের দলহীন জনসংযোগ নিয়ে চর্চা চলছেই। তারই মধ্যে নন্দীগ্রামের মাটিতে তৃণমূলের কোন্দলে ফের সামনে আসছে অধিকারী বনাম অখিল গিরির দ্বৈরথ।

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কেন্দেমারি পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচিত হওয়ায় মনসুরা বেগম, তাঁর স্বামী তথা ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য শেখ শাহাবুদ্দিন-সহ চারজনকে সাসপেন্ড করেছিলেন ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে সাসপেন্ড হওয়া ওই চার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা রাজনীতিতে ‘অধিকারী পরিবারের’ বিরোধী শিবির। জানা যাচ্ছে, সাসপেন্ড হওয়া চারজন ইতিমধ্যে রামনগরের বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অডিনেটর অখিল গিরির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অখিলের মধ্যস্থতায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। তারপর দাবি করা হচ্ছে, রাজ্য নেতৃত্বে র অনুমোদন ছাড়া ব্লক কিংবা জেলা নেতৃত্ব দলের কাউকে সাসপেন্ড বা বহিষ্কার করতে পারে। ফলে, সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত অবৈধ।

জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর অখিল বলেন, ‘‘জেলা কিংবা ব্লক নেতৃত্ব দলের কাউকে শাস্তি দিতে পারেন না। প্রয়োজন মনে করলে রাজ্য নেতৃত্ব কাউকে শাস্তি দিতে পারেন। নন্দীগ্রামের যে চারজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেছিলেন ব্লক নেতৃত্ব, তা একেবারেই ঠিক নয়।’’ মনসুরার স্বামী কেন্দেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির নেতা শেখ শাহাবুদ্দিনের দাবি, ‘‘সাসপেন্ড ঘোষণা করার পরে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে শেষে জেলার অন্যতম কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরির সঙ্গে যোগাযোগ করি।’’

গত কয়েক মাস ধরে দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু। সরকারি অনুষ্ঠানেও সে ভাবে থাকছেন না রাজ্যের এই মন্ত্রী। তবে দলবিহীন জনসংযোগ চালাচ্ছেন শুভেন্দু ও তাঁর অনুগামীরা। এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর বিধানসভা এলাকায় অধিকারীদের বিরোধী শিবিরের এমন ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। মেসেজেরও জবাব দেননি তিনি। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে তখন রাজ্য নেতৃত্ব পদক্ষেপ করেন। এটাই দলীয় নীতি। নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গটি নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Nandigram TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy