Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
social media

‘এমএলএ পরিবর্তন করতে পারি’, সমাজমাধ্যমে দাবি তৃণমূল নেতার

মাস দু’য়েক আগেই জেলা তৃণমূলে পদপ্রাপ্তি নিয়ে ডেবরা ব্লকের সাংসদ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ওই ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ রতন দে।এ বার ফের তিনি বিতর্কিত পোস্ট করলেন সমাজমাধ্যমে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৪৯
Share: Save:

তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। এ বার সেই দ্বন্দ্বের সাক্ষী থাকছে সমাজমাধ্যম।

মাস দু’য়েক আগেই জেলা তৃণমূলে পদপ্রাপ্তি নিয়ে ডেবরা ব্লকের সাংসদ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ওই ব্লকের কর্মাধ্যক্ষ রতন দে। বালি খাদান, মোটা সোনার চেন, গাড়ি, পাঁচটি মোবাইল থাকলেই জেলার পদ পাওয়া যায় বলে কটাক্ষ করেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। এ বার ফের তিনি বিতর্কিত পোস্ট করলেন সমাজমাধ্যমে।

সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ফেসবুকে একাধিক পোস্ট করেছেন তিনি। প্রথম পোস্টে লিখেছেন, “টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না।” দ্বিতীয় পোস্টে তাঁর বার্তা, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুর যাঁর চোখ দিয়ে দেখছেন ঠকে যাবেন দিদিকে বলছি।” আর তৃতীয় পোস্টে রতনের মন্তব্য, “আমি যদি মনে করি এমএলএ পরিবর্তন করতে পারি।” এরপরেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ সমীকরণে রতন নিজে স্থানীয় বিধায়ক সেলিমা খাতুনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সেই তিনি কেন হঠাৎ বিধায়ক পরিবর্তনের কথা বলছেন তা ভাবাচ্ছে দলের নেতা-কর্মীদের। তাঁর দ্বিতীয় পোস্টটির লক্ষ্য দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি—এমনই মনে করছেন দলের একাংশ। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অজিত বলেন, “রতন ইদানীং এমন আজেবাজে কথা বলছে। আমিও দেখলাম এমন একটি পোস্ট করেছে। এমনকি বিধায়ক পরিবর্তন করতে পারেন বলেও লিখেছে। স্থানীয় কিছু সমস্যা রয়েছে এটা ঠিক। আলোচনার মাধ্যমে সেটা আমাদের দেখতে হবে।” সম্প্রতি মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জোর চর্চা চলছে তৃণমূলের ঘরে-বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্যে জল্পনা আরও বেড়েছে। কারণ গত গত কয়েকদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর বিভিন্ন বক্তৃতা, মন্তব্য ফেসবুকে শেয়ার করছেন রতন।

ডেবরা ব্লক তৃণমূলের দীর্ঘদিনের সভাপতি রতন এখন জেলা তৃণমূলের নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। গত কয়েক মাস ধরেই দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্বকে বিঁধে সমাজমাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে সাংসদ প্রতিনিধি সীতেশ ধারার জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার পরেও একই কায়দায় সরব হয়েছিলেন তিনি। সোমবারের পোস্টের কথা জানার পরে সাংসদ প্রতিনিধির দাবি, “বিধায়কের সঙ্গে তো উনি ভালই মিলেমিশে ছিলেন। কিন্তু সমাজমাধ্যমে রতনদার এমন কথা মানে খুঁজে পাচ্ছি না। শুনছি জেলা সভাপতিকে ইঙ্গিত করেও নানা কথা লিখছেন। এমন মন্তব্য সমাজমাধ্যমে করায় দলের ক্ষতি হচ্ছে।’’

ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক সেলিমা খাতুনের কথায়, “আমিও সকালে একজনের মাধ্যমে দেখলাম রতনদা এমন মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এই প্রসহ্গে বলতে চাই, আমাদের সম্পর্কে কোনও অবনতি হয়নি। ওঁর মাথার সমস্যা হয়েছে কি না জানি না!”

বিষয়টি নিয়ে জানতে রতনকে বহুবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। জবাব দেননি এসএমএস ও হোয়াটস অ্যাপেরও।

অন্য বিষয়গুলি:

social media TMC Midnapore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy