বাইরে বৃষ্টি। ঘরের মধ্যেই চলছে মূর্তি গড়ার কাজ। কাঁথি-৩ ব্লকের চাঁদবেড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র
করোনায় রক্ষে নেই। দোসর হয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি। সপ্তাহখানেক ধরে নাগাড়ে নিম্নচাপে কালো মেঘে মুখ ঢেকেছে সূর্য। বিরাম নেই বৃষ্টির। শারদোৎসবের প্রাক্কালে বারবার দুর্যোগের জেরে থমকে গিয়েছে দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ। কোনওভাবে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হলেও পুজোর আগে কাজ ঠিকমত শেষ করা যাবে কি না তা নিয়ে কপালে বলি রেখার সংখ্যা বাড়ছে কুমোরপাড়াপ শিল্পীদের।
এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে যেমন মূর্তি গড়ার কাজ থমকে গিয়েছে। তেমনই প্রতিমা শুকোনোর কাজেও বিলম্ব হচ্ছে। পুজোর এক মাসও বাকি নেই। আগামী ৫ অক্টোবর মহালয়া। ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী। তার আগে আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন মৃৎশিল্পীরা। রোদের দেখা না পেয়ে প্রতিমার গায়ের কাঁচা মাটি শুকোতে স্ট্যান্ড ফ্যান-এর উপরেই ভরসা করছেন তাঁরা।
কাঁথি-৩ ব্লকের পিঠুলিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিমা তৈরি করছেন জয়দেব বর্মন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিমার মাটি না শুকোলে রং ধরবে না। যে ভাবে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে তাতে মাটি শুকোচ্ছে না। তাই কাজও থেমে যাচ্ছে। সব সময়ে কি আর বড় বড় ফ্যান চালিয়ে প্রতিমা শুকোনো যায়?’’ বৃষ্টি না থামার আশঙ্কায় তিনি বলেন, ‘‘করোনার জন্য পুজোর আয়োজকেরা এবার অনেক দেরিতে বায়না দিয়েছে।কয়েক দিন আগেও নতুন বায়না এসেছে। কিন্তু আবহাওয়া যে ভাবে খেলা দেখাচ্ছে তাতে সময়ে কাজ শেষ করতে পারব কি না তা নিয়ে চিন্তায় আছি। পুজোর যে আর এক মাসও বাকি নেই।’’ আর এক মৃৎশিল্পী চতুর্ভুজ বারিক জানালেন, প্রতিবার অনেক আগে থেকে বায়না আসার ফলে বৃষ্টি হলেও তেমন অসুবিধা হয় না। মূর্তি শুকোনোর জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। এবছর গতবারের থেকে মূর্তির সংখ্যা বাড়লেও তেমন আশাব্যাঞ্জক কিছু নয়। তাও বায়না এসেছে দেরিতে। ফলেই সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে।’’
শুধু জয়দেব বা চতুর্ভুজ নন। জেলায় অনেক শিল্পীরই তৈরি প্রতিমা ভিন জেলা ছাড়াও অন্য রাজ্যেও পাড়ি দেয়। তাই সেই বায়না ঠিক রাখতে এখন রোদ ঝলমলে আকাশের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy