মুখভাঙা ট্যাপকলে নষ্ট হচ্ছে জল। নিজস্ব চিত্র
পানীয় জল নিয়ে হাহাকার পড়েছে চেন্নাই, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে। এ রাজ্যেও জল অপচয় রুখতে ও জল সঞ্চয় নিয়ে সচতনতার প্রচার শুকরু হয়েছে সরকারে তরফে। অথচ জল অপচয় বন্ধে ও জলের সঠিক ব্যবহার নিয়ে যে এখনও তেমন সচেতনতা গড়ে ওঠেনি তার দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্প-বন্দর শহর হলদিয়ায়। যে কারণে শিল্প শহরে একাধিক এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অনেকটা নীচে নেমে যাওয়া সত্ত্বেও জলের অপচয় আটকাতে পুরসভা এবং জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর ব্যর্থ।
হলদিয়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বালুঘাটার সানসেট ভিউ পয়েন্ট। এখানে একাধিক ট্যাপকল থেকে অনবরত পানীয় জল পড়ে নষ্ট হয় বলে অভিযোগ। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা এভাবে ট্যাপ কল থেকে জল বেরোতে থাকে। ওই সব ট্যাপকল থেকে জল সংগ্রহ করা স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, একটি ট্যাপ কলের মাথা দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙা। ফলে যখন প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল আসে তখন ট্যাপকল থেকে অনবরত জল বেরোতে থাকে। শুধু এই দুটি ট্যাপ কলই নয়, শিল্পশহরে মঞ্জুশ্রী-সহ বিভিন্ন এলাকার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে এমনই মাথাহীন ট্যাপ কল। অভিযোগ, ওই সব ট্যাপ কলে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর যখন জল সরবরাহ করে তখন অনবরত পড়তে থাকে পানীয় জল। অথচ গত কয়েক বছর ধরে হলদিয়ার বিষ্ণুরামচক-সহ টাউনশিপের একাধিক গ্রামে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অনেক নীচে নেমে গিয়েছে। ওই সব এলাকায় এ বছরও গরমের সময় পুরসভার তরফে বসানো নলকূপগুলি থেকে পর্যাপ্ত জল মেলেনি বলে দাবি বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় এভাবে জল অপচয় নিয়ে শঙ্কিত শিল্পাঞ্চল এলাকার সচেতন নাগরিকরা।
শিল্প শহরের নানা পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তথা শিক্ষক মণীনীন্দ্রনাথ গায়েনের দাবি, যে ভাবে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নামছে তাতে অচিরেই পানীয় জল নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়তে হতে পারে হলদিয়াকে। তাই পানীয় জলের ব্যবহার সম্পর্কে শহরবাসীকে সচেতন করা জরুরি। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীসংগঠনকেও এগিয়ে আসবে হবে। ছোট থেকেই শিশুদের জল অপচয় বন্ধ ও জলের সঞ্চয় নিয়ে সচেতন করতে স্কুলগুলিকেও উদ্যোগী হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy