—ফাইল চিত্র।
শারদীয়া, দীপাবলি চলে গেলেও উৎসবের মরসুম এখনও শেষ হয়নি। সামনে আসছে বড়দিন। তবে তার আগেই হাওড়া থেকে দিঘা বিশেষ ট্রেন বন্ধ করে দিল দক্ষিণ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। শীতে পর্যটনের মরশুম শুরুর মুখে রেলের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ দিঘার হোটেল ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে হাওড়া থেকে দিঘা পর্যন্ত এক্সপ্রেস ট্রেন চালানোর দাবি তুললেন। অন্যথায় বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে দিঘায় বেড়াতে আসার ক্ষেত্রে পর্যটকরা অসুবিধায় পড়বেন বলে আশঙ্কা তাঁদের। সে ক্ষেত্রে পর্যটন ব্যবসার ক্ষতির কথা ভেবে তাঁরা চিন্তিত।
গত পয়লা ডিসেম্বর থেকে দিঘা-হাওড়া এসি এক্সপ্রেস বন্ধ করে দিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। উৎসবের মরসুমে ওই বিশেষ ট্রেন দিঘা পর্যন্ত চললেও যাত্রী সংখ্যা একেবারেই নগণ্য ছিল। ফলে ওই বিশেষ ট্রেন চালানো যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ এবং তাতে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল বলে দাবি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, দিঘা যাওয়ার জন্য মেচেদা এবং পাঁশকুড়া থেকে একাধিক লোকাল ট্রেন রয়েছে। তবে ওই সব লোকাল ট্রেনেও অর্ধেকের কম যাত্রী যাতায়াত করেন বলে রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ থেকে দিঘায় বেড়াতে আসা সমীর দুবে নামে এক আইনজীবী বলেন, ‘‘পরিবারের চারজন গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। শুধু যাতায়াতেই দশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। হাওড়া থেকে এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হলে ওই খরচ অনেক কমে যেত।’’ পর্যটকদের পাশাপাশি হাওড়া থেকে সরাসরি এক্সপ্রেস ট্রেন ফের চালুর দাবি জানিয়েছেন দিঘার হোটেল মালিকরা। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘১১৬ বি জাতীয় সড়কে এখনও কাজ চলছে। ফলে পর্যটকরা দিঘায় আসার পথে অসুবিধায় পড়ছেন। ট্রেন চালু থাকলে অনেকে তুলনায় আরামে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। বিশেষ করে বয়স্করা।’’
সামনেই ২৫ ডিসেম্বর। বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে দিঘায় পর্যটনের মরসুম শুরু হয়ে যাবে। লকডাউন শিথিল পর্বে শুধু দিঘা নয়, মন্দারমণি, তাজপুর এবং শঙ্করপুরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান অখিল গিরি বলেন, ‘‘পাশের রাজ্য ওড়িশায় পুরী পর্যন্ত এক্সপ্রেস ট্রেন চললে দিঘায় কেন হবে না! উৎসবের মরসুমে বিশেষ ট্রেন বন্ধ হয়ে গেলেও আগামী দিনে যাতে অন্তত একটি এক্সপ্রেস চালানো হয় তার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’’
এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল ম্যানেজারের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি। এসএমএস করা হলেও উত্তর মেলেনি। তবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেন। এ ব্যাপারে তাঁরাই বলতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy