প্রতীকী ছবি।
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উঠে এল নতুন তথ্য। মৃত যুবক শেখ হোসেন আলির মা মঙ্গলবার হাই কোর্টে অভিযোগ করেছেন, কোতোয়ালি থানা ও ম্যাজিস্ট্রেটের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে মৃতদেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায়!
গত ৫ জুলাই মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল অপহরণের অভিযোগে ধৃত পূর্ব মেদিনীপুরের যুবক হোসেনের। তাঁর মায়ের তরফে এ বিষয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী প্রবীর মিত্র আদালতে অভিযোগ করেন যে কোতোয়ালি থানা ও ম্যাজিস্ট্রেটের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে মৃতদেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, মৃতদেহের গলায় যে দাগের কথা রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, কী ভাবে দেখলেন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট?
প্রবীর জানান, পুলিশের রিপোর্টে উল্লেখ আছে যে মৃতের গলায় গামছা জড়ানো ছিল। সেই গামছা না সরিয়ে, মৃতদেহ না নামিয়ে কী ভাবে গলার দাগ দেখা গেল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন আইনজীবী। পরিবারের আরও অভিযোগ তাঁদের সন্তানের মৃত্যুর খবর প্রথমে সংবাদমাধ্যম দেখতে পান তাঁরা। পুলিশের তরফে পরে জানানো হয় তাঁদের। আদালতে আইনজীবী জানান, কোমরে যন্ত্রণার কারণে হোসেনকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর প্রশ্ন, ওই অবস্থায় কী করে এক জন গাছে উঠতে পারেন?
প্রসঙ্গত ৫ জুলাই সকাল ৯টা নাগাদ হোসেনের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায় মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে আইনজীবী প্রবীর জানান মৃতদেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তরের সময় নেওয়া কিছু ছবিতে মৃতের গায়ে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। সেই ছবিও আদালতে জমা দেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী। মৃতের পরিবারের বক্তব্য, এই ঘটনায় প্রভাবশালীরা যুক্ত তাই পুলিশ তাঁদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। এমনকি, তাঁদের বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে বলা হচ্ছে যে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েও কিছু লাভ হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy