অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসা শিশুদের মধ্যে যারা অপুষ্টিতে ভুগছে তাদের চিহ্নিত করে পরিবারের জন্য সব্জি-ফলের বাগান করে দেওয়ায় উদ্যোগী হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। হাঁস-মুরগির খামার তৈরি পরিকল্পনার কথাও জানান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক
রশ্মি কমল।
শনিবার কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উপনগরীর বলাকা মঞ্চে বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। হাজির ছিলেন জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, সদস্য সহ ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
জেলাশাসক জানান, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসা শিশুদের একাংশ অপুষ্টির শিকার। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসা এইসব শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের পরিবার যাতে পুষ্টিকর খাবার জোগান দিতে পারে তার জন্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে এইসব শিশুদের বাড়িতে খামার বানিয়ে দেওয়া হবে। নতুন এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে অঙ্গনা।
উল্লেখ্য, জেলায় অপুষ্টির শিকার কম ওজনের ও রোগাক্রান্ত শিশুদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যমে স্বাভাবিক করে তোলার জন্য জেলার মুগবেড়িয়াতে বিশেষ পুষ্টি প্রকল্প রয়েছে। মূলত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ওইসব শিশুদের পুষ্টি কেন্দ্রে রেখে বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি-সহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
কর্মশালায় জেলাশাসক জানান, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের পড়াশোনার মান পর্যালোচনার জন্য জন্য জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক-সহ ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকরা প্রতি মাসে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নেবেন। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy