বাড়িতে আগুন লগানোর চেষ্টা করে অভযুক্তের বন্ধুরা। প্রতীকী চিত্র।
হাই কোর্টের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তথা শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা শুভদীপ গিরি। এর মধ্যেই নির্যাতিতার বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে ওই অভিযুক্তের কয়েকজন বন্ধুর বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার মা কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা যখন সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট, তখন এমন অভিযোগে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, গত ৩ এপ্রিল গভীর রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাদের বাড়ির সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এরপর তারা একটি কাঠের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে একটি ফাইবারের ছাউনির নিচে আগুন ধরিয়ে দেয়। নির্যাতিতার বাবার কথায়, ‘‘বাড়ির পিছনের জানলায় ধাক্কা দেওয়া হয়। পরে গোটা বাড়ি ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে বুঝতে পেরে ছাদে উঠে যাই। তখন দেখি, কয়েকজন যুবক ছুটে পালাচ্ছে। ওদের মধ্যে একজনকে আমরা চিনি।’’ নির্যাতিতার মায়ের দাবি, ‘‘আগুন লাগার খবর পেয়ে রাতেই বাড়ি ঘুরে গিয়েছে পুলিশ। পরের দিন তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এদের মধ্যে একজন তৃণমূল ছাত্রনেতার বন্ধু আর বাকি দুজন তার সহযোগী।’’ আরও অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পাওয়ার দিন নির্যাতিতার ভাই এবং তার বন্ধুদের প্রকাশ্যে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় ওই ছাত্র নেতা। যদিও, এপ্রসঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্র নেতার আইনজীবী আনন্দ দাস বলেন, ‘‘আমার মক্কেল জামিন পাওয়ার পর হাই কোর্টের নির্দেশে জেলার বাইরে। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, শুভদীপ, তার বাবা ও দিদির বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি কাঁথি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানান শহরের বাসিন্দা এক মহিলা। তাঁর নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজ্লাসেও মামলা করেছিলেন নির্যাতিতার মা। সে সময় পুলিশের ভূমিকা তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি, নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল পুলিশকে। এরপর নির্যাতিতার বাড়ির সামনে অস্থায়ীভাবে পুলিশ প্রহরার বসে। এখন ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শুভদীপ জামিন পাওয়ার পরে ফের নির্যাতিতার পরিবারের তরফে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা করা হচ্ছে।
নিয়ম অনুযায়ী মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার পর নির্যাতিতার বাড়ির সামনে থেকে পুলিশি প্রহরা বসেনি বলে খবর। যদিও কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অভিযোগকারী পরিবারের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। তারপরও যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy