টাকা ফেরত দিচ্ছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার তিনি নগদেই সেই টাকা ফেরালেন। নারায়ণগড়ের পাকুড়সেনী পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়া ভুমজানের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই গ্রামবাসী এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা দিলওয়ার আলি শাহের থেকে কাটমানি ফেরতের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে করছিলেন। সোমবারও আন্দোলন হয়। এলাকায় পুলিশ আসে। তারপর ১৮ জনকে সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকা ফেরত দেন তিনি। বাকিদের থেকে নেওয়া টাকা পরে ফেরাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিজেপির এসসি মোর্চার জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ দোলাইয়ের দাবি, পাকুড়সেনী পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের অনেকেই কাটমানি খেয়েছেন। দিলওয়ার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন। দিলওয়ারও মানছেন, ‘‘আমি যে টাকা নিয়েছিলাম তা ফেরত দিলাম।’’ যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি মিহির চন্দের দাবি, এরকম কোনও খবর তিনি জানেন না।
কাটমানির টাকা ফেরত চেয়ে পোস্টার দেওয়াও থেেম নেই। তৃণমূলের মেদিনীপুর শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবের বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা যায়। বিশ্বনাথ শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর। এই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর হলেন বিশ্বনাথের স্ত্রী লিপিকা পাণ্ডব। পোস্টারে লিপিকার নামও রয়েছে। পোস্টারগুলির নীচে লেখা ছিল, ‘সমস্ত ১৯ নম্বর ওয়ার্ডবাসী।’ সোমবার সকালে পোস্টারগুলি দেখতে পান স্থানীয়রা। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাটমানি খেয়ে ও প্রোমোটারি করে বিগত ২০ বছর ধরে প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলর ও তৃণমূলের শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডবের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২টি পুকুর বোজানো হয়েছে এবং বর্তমানে পুকুর বোজানো চলছে। কার স্বার্থে লিপিকা পাণ্ডব জবাব চাই জবাব দাও।’ কোনও পোস্টারে লেখা ছিল, ‘অবিলম্বে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের কাউন্সিলরকে সমস্ত মানুষের কাজের জন্য যে কাটমানি খেয়েছে তা ফেরত দিতে হবে।’’ যদিও বিশ্বনাথের দাবি, ‘‘এ সব বিজেপির লোকেদের কাজ।’’ অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাসের দাবি, ‘‘দলের কেউ পোস্টার দেয়নি। যাদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়া হয়েছে, পোস্টার তারাই দিয়েছে। তৃণমূল নেতার উচিত, কাটমানির টাকা ফেরত দেওয়া।’’
এ দিন সকালে ক্ষীরপাই পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডেও কাটমানি পোস্টার দেখা যায়। লাল কালিতে লেখা সেই পোস্টারগুলির নীচে লেখা রয়েছে উপভোক্তাবৃন্দ। পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘শৌচাগার তৈরির জন্য উপভোক্তাদের ৩ হাজার নিয়ে কী করা হল তার জবাব চাই।’ স্থানীয় কাউন্সিলর অজয় সিংহ ও সুভাষ মণ্ডল নামে পুরসভার এক কর্মীর বিরুদ্ধে কাটমানির টাকায় ব্যক্তিগত ঘর তৈরির অভিযোগ তোলা হয়েছে।’
তবে অজয় সিংহ ও সুভাষ মণ্ডল দু’জনেই অভিযোগ মানেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy