পুকুরে তৃণমূলের পতাকা। নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীর হাইভোল্টেজ সভা। সেখানে ১ লক্ষের জমায়েতের কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু নিজেই। তার আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের খোদামবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের একাধিক পোস্টার ও দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
খোদামবাড়ির যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্রের অভিযোগ, ‘‘গতকাল গভীর রাতে খোদামবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে সিদ্ধেশ্বর বাজার পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স ও তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অনেক ফ্লেক্স থেকে মমতার মুখ কেটে নেওয়া হয়েছে।’’ সেই সঙ্গে টেঙ্গুয়া এলাকাতেও তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছেঁড়া হয়েছে বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার।
এই ঘটনার খবর ছড়াতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। স্বপনের দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভা ছিল। তার জন্য গোটা এলাকায় প্রচুর ব্যানার পোস্টার ঝোলানো হয়েছিল। সেগুলোই বিজেপির লোকেরা ছিঁড়েছে।’’ গোটা ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি প্রলয় পাল বলেছেন, ‘‘এটা নিছকই তৃণমূলের প্রচার পাওয়ার চেষ্টা। আমাদের কেউ জড়িয়ে নেই।’’
তৃণমূল সূত্রে খবর, এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বেলার দিকে টেঙ্গুয়া মোড়ের কাছে প্রতিবাদ সভা করবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নন্দীগ্রাম কলেজ মাঠে শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার রাস্তার মুখেই পড়ে এই টেঙ্গুয়া মোড়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির সভায় আসা প্রতিটি গাড়িকে এই মোড় পেরতেই হবে। তাই এই জায়গায় তৃণমূলের প্রতিবাদ সভা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
গত কয়েক দিন ধরে চাপা উত্তেজনা থাকায় আগে থেকেই বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy