আজ, মঙ্গলবার মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলার চার্জগঠনের শুনানি শুরু হবে। সোমবার এই মামলার দিন ধার্য ছিল। এ দিনই চার্জগঠনের শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। অভিযুক্তদের আদালতে হাজিরও করা হয়। এ দিন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা একাধিক পিটিশন জমা দেন। সেই পিটিশনের শুনানি হয়। এ দিন আর চার্জগঠনের শুনানি হয়নি।
মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক বলেন, “মঙ্গলবার এই মামলার চার্জগঠনের শুনানি হবে। এ দিন আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।” তাঁর কথায়, “আসামীপক্ষের আইনজীবীরা এ দিন একাধিক পিটিশন করেছিলেন। তাই আর চার্জগঠনের শুনানি হয়নি।”
সোমবার কড়া নিরাপত্তায় বাসব রামবাবু-সহ ধৃত ১৩ জনকে মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। গত ২ মে মামলাটি দায়রা সোপর্দ হয়। পরের দিন ৩ মে এজলাস চূড়ান্ত হয়। এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া যে মেদিনীপুরের বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে চলবে, সেই নির্দেশ ওই দিনই দেয় মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা আদালত। পরে মামলার পরবর্তী দিন ৭ জুন ধার্য করা হয়েছিল। সেই মতো এ দিন বিশেষ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলাটি ওঠে।
গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। দুষ্কৃতী হামলায় নিহত হয় শ্রীনুর ‘ডান- হাত’ বলে পরিচিত ধর্মা রাও। জখম হয় তিনজন। শ্রীনু হত্যা মামলাটি চলছিল মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় ৮ এপ্রিল মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে শ্রীনু হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।
চার্জশিটে ১৪ জনের নাম রয়েছে। এরমধ্যে বাসব রামবাবু-সহ ১৩ জন ধরা পড়ে গিয়েছে। কে কাশী রাও এখনও পলাতক। চার্জশিটে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, রামবাবুই ঘটনার মূলচক্রী। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে। প্রয়োজনে ‘সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট’ জমা দেওয়া হতে পারে। এই মামলায় সাক্ষী রয়েছেন ৮৯ জন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রামবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক জানান, “এই মামলায় নতুন করে কেউ মেদিনীপুর আদালতে জামিনের আবেদন জানায়নি।” হাইকোর্টে অবশ্য একাধিক অভিযুক্ত জামিনের আবেদন জানিয়েছে। শ্রীনু হত্যায় ধৃত কয়েকজনকে মেদিনীপুরের বাইরে বিভিন্ন জেলে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী মৃণাল চৌধুরী বলেন, “আমরা ওদের এক জেলে রাখার আবেদন জানিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy