— নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই মেদিনীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকায় হকার উচ্ছেদ করেছিল মেদিনীপুর পুরসভা। হকারেরা আবার সেখানেই দোকান খুলে বসতে শুরু করায় শুক্রবার মেদিনীপুর কলেজ, কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যাপক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁদের দাবি, কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের সামনে কোনও দোকান বসতে দেওয়া যাবে না।
গত ৩ জুলাই হকার উচ্ছেদের পর পুরসভা ওই এলাকা পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন করে উন্নয়নের কাজ শুরু করে। নর্দমা ও ফুটপাত তৈরির কাজ শুরু হয়। কলেজ এবং কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো করে দেওয়াল রং করে সাজানোর কাজও শুরু করে। এর পর শুক্রবার হকারেরা আবার দোকান বসাতে শুরু করায় বিক্ষোভ দেখান কলেজ এবং কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ। মেদিনীপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্যরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসন থেকে দোকানঘরগুলি অন্যত্র পুনর্বাসন দিলেও ওরা নতুন করে আবার বসতে শুরু করেছে। বিষয়টি পুলিশ ও পুরসভাকে জানানো হয়েছে। কলেজ এবং স্কুলের সামনে দোকান বসে থাকলে দৃষ্টিকটূ হয়। আমরা রাস্তা অবরোধ করিনি। প্রতিবাদ জানাতে বেরিয়েছি।’’ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা হিমানী পড়িয়া বলেন, ‘‘স্কুল ও কলেজের সামনের জায়গা ফাকা থাকলে সুন্দর লাগবে দেখতে। দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের জায়গা দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন। তাঁদের পুর্নবাসন দিয়েছে, তাদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, সে ব্যাপারেও প্রশাসনকে দেখতে অনুরোধ করব। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’
খবর পেয়ে এলাকায় যান কোতোয়ালি থানার পুলিশ এবং মেদিনীপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরপ্রধান সৌমেন খান হকারদের জানিয়ে দেন, তাঁদের যেখানে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে, সেখানেই বসতে হবে অন্যত্র বসা যাবে না। প্রয়োজনে তাঁদের অন্যান্য জায়গাতে পুনর্বাসন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্য দিকে হকার ব্যবসায়ীদের দাবি, রথের আগে তাঁদের দোকানঘরগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে এলাকায় বসানো হয়েছে, সেখানে বিক্রি হচ্ছে না ফলে সমস্যা হচ্ছে সংসার চালাতে। অথচ যেখান থেকে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আবার কয়েক জন দোকান খুলে বসেছিলেন। কিন্তু প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি। সেই কারণেই তাঁরা পুরনো জায়গায় ফিরে গিয়েছেন।
মেদিনীপুর সদরের মহকুমাশাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খবর পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও পুরসভাকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy