হুলা জ্বালানো, পটকা ফাটানোই সার। লোকালয় থেকে একচুলও সরেনি হাতির দল। ফল, ফসলের ক্ষতি। তছনছ একাধিক বাড়িঘরও। দিশাহারা বন দফতরও। দিন কয়েক আগে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাস্তা অবরোধ করেন চন্দ্রকোনার বাসিন্দারা। তারপরেও ক্ষতির বহর না কমায় এ বার চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া বিট অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার সকাল থেকে ঘণ্টা দু’য়েক চলে বিক্ষোভ। তারপরে বন দফতর জানাতে পারেনি, হাতির পালকে কবে অন্যত্র সরানো হবে।
বন দফতরের মেদিনীপুর বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “রবিবার রাতেই হাতির পাল সরাতে পদক্ষেপ করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি। মানুষের ক্ষোভ স্বাভাবিক। তবে কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” হাতির দলের তাণ্ডব চলছিলই। গত শুক্রবার ও শনিবার চন্দ্রকোনার বিভিন্ন গ্রামে দলমার দাঁতালের দাপটে কয়েকশোএকর জমির আলু ও সব্জির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। ৪০টি হাতির পাল এখনও ধামকুড়িয়া ও সংলগ্ন জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছে। এর জেরেই রবিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় অযোধ্যা, শোলাগেড়িয়া, যাদবনগর, পানশিউলি, বনকাঠি-সহ কুড়ি-বাইশটি গ্রামের বাসিন্দারা ধামকুড়িয়া বিট অফিসে এসে জড়ো হন। তারপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, “হাতি আমাদের সব ফসল শেষ করে দিয়েছে। ধানেরও দফারফা। হাতির পালকে অনত্র সরানোর দাবিতেই এই বিক্ষোভ।” বন দফতরের একাধিক অফিসে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy