ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় আশ্বিনী। নিজস্ব চিত্র
ফাল্গুনীর জায়গা নিল আশ্বিনী। ফাল্গুনী উত্তরবঙ্গে চলে যাওয়ায় পরে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা হাতিশূন্য হয়ে গিয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া রেঞ্জের জামডহরার জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়ে হাতি শাবক আশ্বিনীকে রাখা হয়েছে ফাল্গুনির ক্র্যল-এ। ঝাড়গ্রাম প্রাণিসম্পদবিকাশ দফতরের সহ অধিকর্তা চঞ্চল দত্ত বৃহস্পতিবার থেকেই নিয়মিত বছর খানেকের শাবকটিকে পরীক্ষা করেছেন। শুক্রবারও শাবকটির প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শাবকটিকে ল্যাকটোজেন, শশা, গাজর ও কুমড়ো কুরিয়ে দেওয়া হয়। কচি কলাপাতা, ওআরএস মেশানো জলও খাওয়ানো হয়েছে। এ দিন পাতলা খিচুড়ি খাওয়ানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শাবকটির খিচুড়ি পছন্দ হয়নি। বৃহস্পতিবার শাবকটিকে ক্র্যলে রাখার পর সে ক্রমাগত চিৎকার করছিল। চিড়িয়াখানা কর্মীরা খাবার দিতে গেলে তেড়ে আসছিল। তবে এদিন শাবকটি অনেকটাই ধাতস্থ হয়েছে। প্রাণী চিকিৎসক চঞ্চল দত্ত বলেন, ‘‘এদিন শাবকটিকে প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ানো গিয়েছে। মায়ের সঙ্গহারা শাবকটি এদিন চিড়িয়াখানা কর্মীদের হাতের স্পর্শে আদরও খেয়েছে। শাবকটির শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।’’ শাবকটিকে দেখার জন্য এদিন চিড়িয়াখানায় দর্শকদের ভিড় ভালই ছিল।
ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতির পিলখানা তৈরি হলেও এখন ‘মাহুত’ ও ‘পাতাওয়ালা’ (হাতির খাবারের ব্যবস্থাপক) পদে নিয়োগ হয়নি। সেই কারণে গত ৫ সেপ্টেম্বর চিড়িয়াখানার আবাসিক সাড়ে চার বছরের পুরুষ হাতি ফাল্গুনীকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য উত্তরবঙ্গের গরুমারায় ধূপঝোরা কুনকি হাতি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বছর তিনেক আগে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের বড়জোড়া রেঞ্জের সিধলা বিটের জঙ্গল থেকে মা হারা ফাল্গুনীকে উদ্ধার করেছিল বন দফতর। তার পর থেকে হাতিটির ঠাঁই হয়েছিল ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে। ফাল্গুন মাসে এসেছিল।
তাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মা হারা হাতি শাবকটির নাম দিয়েছিলেন ফাল্গুনী। এবার আশ্বিন মাসে উদ্ধার হওয়া এক বছরের মেয়ে হাতিশাবকটির নাম দেওয়া হয়েছে আশ্বিনী। ডিএফও (ঝাড়গ্রাম) বাসবরাজ হলেইচ্চি বলেন, ‘‘শাবকটি খোশমেজাজে রয়েছে। চিড়িয়াখানায় হাতির পিলখানা চালু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy