বেতন ও ভাতা কেটে নেওয়ার নির্দেশ। প্রতীকী চিত্র।
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনে গত ১০ মার্চ স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অমান্য করার অভিযোগে ওই দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকা জেলার প্রায় সাড়ে ৪০০ প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শোকজ করেছিল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সংসদ। তবে ওই সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় প্রায় ৪০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার ওই দিনের (১০ মার্চ) বেতন ও ভাতা কেটে নেওয়ার নির্দেশ জারি করল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ।
বুধবার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিব এবিষয়ে জেলার সমস্ত অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সংসদ সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘‘গত ১০ মার্চ ধর্মঘটের দিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উপস্থিত থাকার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অমান্য করায় ওই দিন অনুপস্থিত শিক্ষক- শিক্ষিকাদের শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকার শোকজের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। তাই রাজ্য অর্থ দফতরের নির্দেশ মেনে জেলার প্রায় ৪0০০ প্রাথমিক শিক্ষিক-শিক্ষিকার ওই দিনের ( ১০ মার্চ ) বেতন ও ভাতা কেটে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার সব অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৩২৬৫টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। প্রায় ১২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।সংসদের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে সিপিএম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদান, ধর্মঘটে সামিল স্কুলশিক্ষক, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার তমলুক শহরের মানিকতলা মোড় থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও ১২ জুলাই কমিটির সমর্থক শিক্ষক-সরকারি কর্মীরা।
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি অশোক দাস বলেন, ‘‘বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার দাবি করে গত ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু ধর্মঘট করার অধিকারের উপরে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের উপরে আক্রমণ করছে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ধর্মঘটে সামিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন কাটার যে নির্দেশ দিয়েছে অবিলম্বে তা বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy