খয়েরুল্লাচকে দিলীপ। নিজস্ব চিত্র।
‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চলছে। এখন ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচিও শুরু হয়েছে। শুক্রবার মেদিনীপুরে এসে তৃণমূল সরকারের এই সব কর্মসূচিকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
এ দিন মেদিনীপুর গ্রামীণের খয়েরুল্লাচকে দলীয় সভায় তিনি বলেন, ‘‘দশ বছর সরকারে আছে, এখন সেই সরকারকে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হচ্ছে। মাথা ঠুকতে হচ্ছে। বলতে হচ্ছে যে, আমাদের ভোট দিন। কারণ, মানুষ দশ বছর ধরে সরকারকে খুঁজে পায়নি। তাই সরকার এখন বলছে, আমরা কিন্তু এখনও আছি!’’ দিলীপের খোঁচা, ‘‘আবার না কি বলছে, পাড়ায় পাড়ায় সমাধান হবে। কীসের সমাধান? স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার সমাধান? না কি পাশের বাড়ির সঙ্গে ঝগড়ার সমাধান হবে?’’
দিলীপের সাংসদ তহবিলের টাকায় খয়েরুল্লাচকে একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি হয়েছে। এ দিন সেটির উদ্বোধন করেন তিনি। তারপরে যোগ দেন দলীয় সভায়। ছিলেন দলের জেলা সভাপতি শমিত দাশ প্রমুখ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, ‘‘এখন চারদিকে রাস্তা তৈরির ধুম পড়ে গিয়েছে। দশ বছর ধরে নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন? এখন মনে পড়ল যে কাজ করতে হবে?’’ তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কোথায় উন্নয়ন? তৃণমূল নেতাদের পাকা বাড়ি হয়েছে। পাকা রাস্তা কোথায় হবে? তৃণমূল নেতাদের বাড়ির সামনে হবে। জলের কল কোথায় লাগবে? তৃণমূল নেতাদের বাড়ির সামনে লাগবে। সরকারি টাকায় দিদিমণির ভাইদের উন্নয়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষের কোনও উন্নয়ন হয়নি।’’ এরপরেই তাঁর ঘোষণা, ‘‘এ বার দিদিমণির বিসর্জন হবে। কংসাবতী নদীতে আমরা বিসর্জন দেব।’’ চাঁদড়া হাইস্কুলে অডিটোরিয়াম তৈরির জন্য সাংসদ তহবিলের টাকা দিয়েছেন জানিয়ে দিলীপের সংযোজন, ‘‘আমরা ঠিক করেছি, গ্রামে গ্রামে সৌরবাতিও লাগাব।’’
দুয়ারে সরকারে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের লাইনে। দিলীপের দাবি, ওই কার্ড দেখালে কিছু হবে না। তিনি জুড়েছেন, ‘‘ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বাইরে আমাদের কর্মীরা থাকবে। কেউ চোখ তুলে তাকাবার হিম্মত দেখাবে না।’’ এ দিন দিলীপের বক্তব্যে আসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের প্রসঙ্গও। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এখন দিদি সকাল-বিকেল রোজ গোনেন, ক’টা উইকেট পড়ল।’’
এ দিন নারায়ণগড়েও একাধিক কর্মসূচি করেন দিলীপ। সেখানে কুনারপুরের একটি ক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। পরে খুড়শি পঞ্চায়েতের চেঙ্গায় দলীয় সভায় যান। েসই সভার আগে কৃষক পরিবারের দেখা করেন। চেঙ্গার সভায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তিনি শুধু মিথ্যে কথা বলেন। অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। বয়স হয়েছে কিন্তু ঠিক হয়নি।’’ তোলেন আমপান ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির অভিযোগ। তৃণমূলের নেতারা বুথের দিকে এলে তাঁদের হাসপাতালে যেতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy