রবিবার ঝাড়গ্রামে প্রচারে দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর: ভোট প্রচারে দুই জেলায় দুই ভিন্ন ছবি। রবিবার সকালে ঝাড়গ্রামে এসে ফাঁকা রাস্তায় চষে বেড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া হাতে গোনা কয়েকজন ছিলেন। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ঠিকমত স্লোগান না দেওয়ায় বিরক্ত হন তিনি। এ দিন বিকেলে মেদিনীপুরে দিলীপের প্রচারে অবশ্য জমায়েত মোটের উপর মন্দ হয়নি।
বিজেপি প্রার্থীদের প্রচারে এ দিন সকালে ঝাড়গ্রাম শহরে এসেছিলেন দিলীপ। পায়ে হেঁটে এক ঘণ্টা ধরে ১৩, ১২ ও ১৪ এই তিনটি ওয়ার্ড প্রচার করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। প্রচারের সময় দিলীপের চারজন নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতি তুফান মাহাতো, জেলা সহ-সভাপতি দেবাশিষ কুণ্ডু ও প্রার্থীরা। এ ছাড়াও ছ’জন কর্মী ছিলেন। এ দিন শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থী অশোক মোহান্তিকে সঙ্গে প্রচার শুরু করেন দিলীপ। তারপর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মৌসুমি গিরি ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী স্বপন কুমার মাহাতোকে নিয়ে রাস্তায় হেঁটে প্রচার করেন। তবে প্রচারে কম লোকজন থাকায় বিরক্ত হচ্ছিলেন দিলীপ। দলীয় কর্মীরা ঠিকমত স্লোগান দিতে না পারায় রেগে গিয়ে দিলীপকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এভাবে স্লোগান দিলে হবে না। ঠিকমত স্লোগান দিতে হবে।’’
এ দিন তিনটি ওয়ার্ডে প্রচার করার সময় রাস্তায় লোকজন ছিল না বললেই চলে। হাতে গোনা মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন দিলীপ। দলীয় কর্মী ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কোন রাস্তা দিয়ে দিলীপকে নিয়ে যাবেন তা নিয়ে বারে বারেই হোঁচট খাচ্ছিলেন। কারণ, অধিকাংশ রাস্তা ছিল ফাঁকা। মানুষজন বাড়ি থেকে বের হয়নি। সেখানেও দিলীপ বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আগে কোন দিকে যাবে তা ঠিক করতে হবে। তোমরা লাইন ঠিক করতে পারছ না।’’ প্রায় একঘণ্টা হাঁটার পর দিলীপ মডেল রাস্তার মোড়ে প্রার্থীদের সঙ্গে বসে চা খান। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন।জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা বলছেন, ‘‘বিজেপির যে জনসমর্থন নেই তা এদিন কেন্দ্রীয় নেতার প্রচারেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ প্রচার শেষে এদিন জেলা বিজেপির কার্যালয়ে বৈঠক করেছিলেন দিলীপ। বিজেপি সূত্রের খবর, মিছিলে লোক না হওয়ায় জেলা নেতাদের ‘ধমক’ দেন দিলীপ। এমনকি, বৈঠকে সমস্ত এজেন্টরা হাজির না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ দিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে একাধিক কর্মসূচি করেছেন দিলীপ। পথসভা করেছেন। বাড়ি বাড়ি প্রচার করেছেন। পথসভায় দিলীপের অভিযোগ, ‘‘লুটের রাজত্ব চলছে। এতদিন পুরভোট না করে উন্নয়নের টাকা লুট করা হয়েছে। এক ইঞ্চি রাস্তা হয়নি। কোথাও ডাস্টবিন নেই। আবর্জনা জমা হয়ে থাকছে।’’ তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’ উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দিলীপ।
মেদিনীপুর শহরের একপ্রান্তে দিলীপ যখন পুরভোটের প্রচার করছেন, তখন বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। এ দিন সন্ধ্যায় অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন শিবু পানিগ্রাহী। মুকুল রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত শিবু এক সময়ে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি ছিলেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আজ, সোমবার মেদিনীপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি করবে বিজেপি। থাকার কথা দিলীপেরও। জেলাশাসকের দফতরের সামনে, কালেক্টরেট মোড়ে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy