—প্রতীকী চিত্র।
কন্যাশ্রী আছে। রূপশ্রী আছে। চলছে প্রচার। তবু কেন আটকানো যাচ্ছে না নাবালিকা বিয়ে? উঠছে প্রশ্ন। উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের অন্দরেও।
বছর পাঁচেক আগের কথা। বীরসিংহ বালিকা বিদ্যালয়ের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। প্রতিবাদ করেছিল ছাত্রী। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আটকানো গিয়েছিল বিয়ে। পরবর্তীকালে জেলা প্রশাসনের তরফে সাহসিকতার পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল ছাত্রীকে। এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। কিন্তু সমস্যা হল, প্রশাসন নাবালিকা বিয়ে আটকাতে তখনও হস্তক্ষেপ করতে পারে যখন সে খবর তাদের কাছে পৌঁছয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, নাবালিকা বিয়ের পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খবর পৌঁছয় না। কারণ, ভালবাসার টানে কোনও নাবালিকা ঘর ছেড়ে বিয়ে করলে পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। হয় পকসো না হলে অপহরণের মামলা করে পুলিশ। গ্রেফতার হয়ে শ্রীঘরে যান অভিযুক্ত যুবক। আর ঘরে ফেরে নাবালিকা। নাছোড় নাবালিকাদের অনেকেরই ঠাঁই হয় হোমে। প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, যতই কড়া আইন হোক, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় যতই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্টের উদাহরণ সামনে থাকুক না কেন কখনও ভালবাসায় রাশ টানা সম্ভব নয়। তাই...
নাবালিকা বিয়ে বন্ধে প্রশাসনের চেষ্টার কোনও খামতি নেই। অনেক আগেই চালু হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। যার অন্যতম লক্ষ্যই হল নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করা। ইতিমধ্যেই সেই প্রকল্পটির স্বীকৃতি মিলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জেও।তবু কন্যাশ্রী পাওয়া নাবালিকার বিয়ে আটকানো যাচ্ছে না। তবে আশার কথা একটাই। বহু ক্ষেত্রে মেয়েরা প্রতিবাদ করছে। নিজেরাই পুলিশ ও প্রশাসনকে ফোন করছে। .যেমনটা করেছিল বীরসিংহ ওই নাবালিকা।
তা হলে উপায়? সচেতনতা। এক একমাত্র উপায় সচেতনতা বৃদ্ধি। নাবালিকার। তার পরিবারের। যে যুবকটি নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে ঘর ছেড়ে বিয়ে করছেন তাঁরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy