গুজবের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচারে গ্রামে বিজ্ঞান কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
গুজব রটেছিল ‘মৃত সঞ্জীবনী’ গাছের। সেই গুজবেই গাছটির দর উঠেছিল কয়েক কোটি টাকা। তাই কাজ, নাওয়াখাওয়া ভুলে গত কয়েকদিন ধরে গাছের পাহারা দিচ্ছিলেন মালিক সেরাজুদ্দিন মল্লিক। বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে সেই গুজবের বিরুদ্ধে প্রচার চালালেন ‘ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি’র সদস্যেরা।
পাঁশকুড়ার রানিয়াড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি সেরাজুদ্দিনের বাড়িতে রয়েছে গাছটি। এলাকাবাসীর কাছে সেটি অচেনা প্রজাতির। কারণ, কাজের সূত্রে ওড়িশা গিয়ে সেখান থেকে গাছের চারাটি এনেছিলেন সেরাজুদ্দিন। সম্প্রতি এলাকায় গুজব রটে যে, গাছটির মৃতবস্তু বাঁচিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
গুজব শুনে আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা প্রতিদিন সেরাজুদ্দিনের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন। পড়শিদের কেউ কেউ গাছটি কেনার জন্য কয়েক কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন সেরাজুদ্দিনকে। এর পরেই কাজকর্ম ছেড়ে রীতিমতো লোক রেখে গাছ পাহারা দিচ্ছিলেন সেরাজুদ্দিন।
গাছটির যে কোনও অলৌকিক ক্ষমতা নেই, এ দিন সেই সংক্রান্ত খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর পরেই বন্ধ হয়ে যায় লোকের আনাগোনা। তবে এ দিন গ্রামে যায় ‘ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি’র তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। দলের সদস্যেরা গাছটির বিষয়ে এলাকার মানুষজনকে বোঝান। এলাকার মানুষ তাঁদের কথা শুনে আশ্বস্ত হন।
‘ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটি’র জেলা সম্পাদক সুমন্ত শী বলেন, ‘‘কল্প কাহিনীতে মৃত সঞ্জীবনী গাছের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে এই ধরনের কোনও গাছ বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাননি। বিজ্ঞান মনস্কতার প্রচার ঘটালে এই ধরনের গুজব বন্ধ করা যাবে। তাই আমরা এখানে এসেছি।’’ লোকজনের আনাগোনা বন্ধ হওয়ায় নিশ্চিন্তে সেরাজুদ্দিনও। ভিড় সামাল দিতে আট দিন কাজে যাননি তিনি। এ দিন সেরাজুদ্দিন বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ার পর লোক আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভাবছি বেড়া খুলে দিয়ে কাজে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy