জলোচ্ছ্বাসের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন লক্ষাধিক মাছ চাষি। নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় আছড়ে পড়লেও তার প্রভাবে মারাত্মক জলোচ্ছ্বাসের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন লক্ষাধিক মাছ চাষি। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে খবর, জেলা জুড়ে হাজার কোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়েছে মাছ চাষে।’’
বৃহস্পতিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র রামনগরের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি দিঘার বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের পর অখিল জানান, এতটা ক্ষতি কেউ কল্পনা করতে পারেনি। সমুদ্রে মারাত্মক জলস্ফীতির জেরে একদিকে যেমন সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা ব্যাপক ভাবে প্লাবিত হয়, তেমনই রূপনারায়ণ, হুগলি, হলদি, বাগুই, কেলেঘাই প্রভৃতি নদীর জলও অনেক উচ্চতায় বইতে থাকে। এর ফলে লাখের কাছাকাছি ভেড়ি জলের তলায় চলে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রায় প্রতিটি ব্লকেই মাছের ভেড়ির ব্যবসা দ্রুত হারে বেড়েছে। সমূদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে নোনা জলের মাছের চাষ যেমন হচ্ছে তেমনই নদী তীরবর্তী জায়গাগুলোতে মিষ্টি জলের ভেড়ি তৈরি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির জেরে গত বছরও মাছ চাষে বিপুল ক্ষতি হয়েছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে এ বার নতুন করে চাষ হয়েছিল। কিন্তু বন্যার জল ঢুকে সব তছনছ করে দিয়েছে।
মৎস্যমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র চিংড়ি চাষের ক্ষতির পরিমাণই প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। এই ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে মিঠা জলের মাছও রয়েছে। এ ছাড়াও মৎস্য বীজ তৈরির কেন্দ্র (হ্যাচারি)-ও রয়েছে। তাই ক্ষতির পরিমাণ সব মিলিয়ে বেশ কয়েক হাজার কোটিতে দাঁড়াবে ছাড়াবে বলেই আশঙ্কা অখিলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy