দিঘার সৈকত জুড়ে ছড়িয়ে পাথর। নিজস্ব চিত্র
এই কি সেই দিঘা-মন্দারমণির চেনা সৈকত? ইয়াস-দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর সৈকতশহরকে দেখে এমনই প্রশ্ন জাগছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে সমুদ্রের জল নামতেই দেখা যায়, সৈকত জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বড় বড় পাথরের খণ্ড। দেখে মনে হচ্ছে, কেউ যেন খেলা করেছে ওই পাথর খণ্ডগুলি নিয়ে। এমন দৃশ্য আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব।
বৃহস্পতিবার বিকালে দিঘার সমুদ্রতটে পা রাখতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে ওই দৃশ্য। ইয়াস আর জোয়ার, এই দুইয়ে মিলে দিঘার সৈকতে যে কয়েক ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে তা বুঝতে পারেন সকলেই। সমুদ্রের বাঁধানো পাড়ে থাকা বড়সড় পাথরের খণ্ড আর বোল্ডারগুলিকে কেউ যেন ছুড়ে ফেলেছে গোটা সৈকত জুড়ে। পাথরের টুকরোয় ‘অবরুদ্ধ’ সমুদ্রের পাড়ের কয়েক কিলোমিটার এলাকা। যা দেখে অনেকে বলেই ফেললেন, ‘‘১৯৭৮ সালের বন্যাতেও দিঘার সৈকতের এমন ভয়াবহ দৃশ্য নজরে আসেনি।’’
ইয়াস-এর তাণ্ডবের চিহ্ন মন্দারমণিতেও। সমুদ্র তীরবর্তী একাধিক হোটেলে এখন ধ্বংসের ছাপ। ভেঙেছে এক তলা বিশিষ্ট একাধিক হোটেল। বড় হোটেলগুলির নীচতলাতেও ইয়াস-এর তাণ্ডবের চিহ্ন বর্তমান। মন্দারমণি হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের তরফে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য দিতে না পারলেও, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এলাকার প্রায় ৮০টি হোটেল কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হোটেল ব্যাবসায়ীদের আফশোস, জলের তোড়ে হোটেল ভেঙে পড়ার সময় কিছুই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সমুদ্রের জল ঢুকে ওল্ড দিঘার উপকূলবর্তী হোটেলগুলিরও প্রভূত ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছেন দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এমনিতেই লকডাউন আর করোনার ধাক্কায় ধুঁকছিল হোটেলগুলি। এ বার ব্যবসার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিল আজকের তাণ্ডব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy