দিঘায় সতর্ক-প্রচার। নিজস্ব চিত্র
সপ্তাহন্তে ছুটি কাটাতে দিঘাতে সপরিবারে বেড়াতে এসেছিলেন নিউ টাউনের বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাস। শুক্রবার রাতে তাঁরা উঠেছিলেন ওল্ড দিঘার একটি হোটেলে। পরিকল্পনা ছিল, শনিবার সকালে সমুদ্রের তটে সূর্যোদয় দেখবেন। কিন্তু এ দিন সকালেই হোটেলের ম্যানেজার জানিয়ে দিয়েছেন— প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হোটেলের ঘর থেকে এক পা বাইরে বেরনো যাবে না।
অগত্যা হতাশ প্রদীপবাবুরা সারা দিন হোটেলের রুমেই ‘বন্দি’ রইলেন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সতর্কবার্তা ইতিমধ্যেই শুনশান দিঘা। সপ্তাহন্তের চেনা ভিড় নেই সৈকত শহরে। যে কয়েক জন রয়েছেন, তাঁদের ঘর ‘বন্দি’ হয়ে থাকতে হয়েছে। শুধু পর্যটক নয়, একই অবস্থা হোটেলের কর্মীদেরও।
‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনে’র যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রশাসনিকভাবে শুক্রবার হোটেল মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, পর্যটকেরা যেন কোনও ভাবে শনিবার রাস্তায় বা সমুদ্রের ধারে না যান। তাই হোটেল মালিকেরা তাঁদের বাইরে বেরতে নিষেধ করেছেন।’’
শনিবার সকাল থেকে দিঘা ছেড়ে রওনা দেন পর্যটকদের অনেকে। সকাল থেকেই স্টেশন, বাস স্ট্যান্ডে ছিল ভিড়। পর্যটকেরা যাতে নিরাপদে উপকূলের তিন পর্যটন কেন্দ্র থেকে ফিরতে পারেন, সে সকাল থেকে অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। সেই মতো দিঘা কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ড এবং চাউলখোলা থেকে বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত সরকারি বাস চালানো হয়। মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বহু পর্যটক দিঘা এবং মন্দারমণি থেকে বাড়ি ফিরতে চাইছিলেন। সে জন্য পরিবহণ দফতর দু-জায়গা থেকে অতিরিক্ত বাস চালিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy