প্রতীকী ছবি।
ঝড়ে উড়ে গিয়েছে অস্থায়ী নিভৃতাবাসের ছাউনি। সেই ক্ষোভে ঝড়ের মধ্যেই কোলাঘাটের সিদ্ধা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়েরা।
ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। তাঁদের সরকারি নিভৃতাবাস কেন্দ্রে (কোয়রান্টিন সেন্টার) রাখার বদলে বাড়িতেই থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে অনেকের বাড়িতে আলাদা ঘর এবং শৌচালয় না থাকায়, তাঁরা এবং গ্রামবাসী মিলিতভাবে ত্রিপল, বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করেছেন। এ রকমই অস্থায়ী শিবিরে থাকছিলেন সিদ্ধা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়াডাঙি এলাকার কয়েকজন শ্রমিক।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় সরকারি স্কুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার জন্য আবেদন করা হলেও সিদ্ধা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অনুমতি দেয়নি। অগত্যা গ্রামের মানুষজন নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের কাঠামো তৈরি করে তার ওপর ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে ওই অস্থায়ী নিভৃতবাস তৈরি করেন। ঘূর্ণিঝড় ‘আমপানে’র জেরে বুধবার দুপুরে নিভৃতবাসের ছাউনি উড়ে যায়। এর পরেই কয়াডাঙি গ্রামের মানুষজন সিদ্ধা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দা অশোক সিংহ বলেন, ‘‘বারবার বলা সত্ত্বেও স্থানীয় পঞ্চায়েত নিভৃতবাসের ব্যবস্থা করেনি। ঝড়ে অস্থায়ী নিভৃতবাসের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। শ্রমিকেরা এখন কোথায় থাকবেন। বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়েছি।’’
ওই সময় পঞ্চায়েত অফিসে থাকা কর্মীরা ভিতরে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে যায় পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। স্থানীয় সরকারি স্কুলে নিভৃতবাস করা যাবে, পঞ্চায়েত কর্মীদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ থামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এবং বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সিদ্ধা-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সন্দীপ ওঝা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে তাঁরা বাড়িতে থাকতে পারবেন। তবুও ওঁদের দাবি মতো আমরা ওদের সরকারি স্কুলে থাকতে বলেছিলাম। এখন পঞ্চায়েতকে বদনাম করতে ওঁরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’’
এগরা মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী নিভৃতাবাসে থাকা বহু পরিযায়ী শ্রমিককে এ দিন নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ওই শ্রমিকদের অস্থায়ী ঝুপড়ি থেকে সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থায়ী বাড়িতে রাখা হয়েছে। এগরা পুরসভা এলাকায় এমন সংখ্যাটা দু’শতাধিক। পটাশপুরের চন্দনপুর, চিস্তিপুর-সহ ভগবানপুরে একাধিক গ্রামের যুবকদের গ্রামের ঝুপড়ি থেকে স্থানীয় স্কুলগুলিতে সরানো হয়েছে। এগরার মহকুমাশাসক অপ্রতিম ঘোষ বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড়ের আগে অস্থায়ী শিবিরে থাকা ওই সব শ্রমিকদের সেখান থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy