—ফাইল চিত্র।
আমপানে জেলার গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি বিভিন্ন পুরসভা এলাকাতেও ক্ষতি হয়েছে বহু বাড়ির। তমলুক পুরসভায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য গত ২৯ মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ক্ষতিপূরণের আবেদন করা নিয়ে পুরসভার তরফে যে সময়সীমা ও শর্তগুলি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি’র অভিযোগ, আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা খুবই কম। এত অল্প সময় দেওয়া হলেও এ ব্যাপারে বাসিন্দাদের জানানোর জন্য কোনও রকম প্রচার করা হয়নি।
তমলুক পুরসভার তরফে দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের মধ্যে যাঁরা বিপিএল (মাসিক আয় ২৫০০ টাকার মধ্যে) তালিকা ভুক্ত, তাঁরাই এই সরকারি সাহায্য পাবেন। এবং এ জন্য আগামী ৩১ মে দুপুর ২টার মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে জমির নথি, হোল্ডিং করের রসিদ, আধার, ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি, বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ছবি এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে। পরসভার নির্ধারিত ওই নিয়মগুলি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি’র তমলুক নগর মণ্ডল কমিটি। এ নিয়ে শনিবার তারা তমলুকের মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, আবেদনকারীর মাসিক আয় আড়াই হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে বলা হলেও, সেই আয় নির্ধারণের মাপকাঠি কে ঠিক করবেন, তা জানানো হয়নি। আবার, আবেদনকারীদের কাছ থেকে বিপিএল সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়নি। বিজেপির নগর মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রথমত, ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার ন’দিন পরে পুরসভা এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আবেদনের জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছে তা অল্প। আর এ নিয়ে পুরসভা মাইকে প্রচার করেনি। এর ফলে অনেক বাসিন্দা পুরসভার বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানে না। তাঁরা আবেদন করার সুযোগও পাবেন না।’’
সুকান্তের আরও অভিযোগ, ‘‘পুরসভার তরফে বিপিএলভুক্ত পরিবারের যে আয়ের শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত শংসাপত্র কীভাবে পাওয়া যাবে, তা জানানো হয়নি। এতে ক্ষতিগ্রস্তদের তো বিভ্রান্তই করা হচ্ছে।’’ ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবারকে আবেদনের সুযোগ দেওয়া ও আবেদনপত্র জমার সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিজেপি।
অবশ্য বিজেপি’র ওই সব অভিযোগ নিয়ে তমলুক পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘আবেদন জমার জন্য তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে। সে নিয়ে পুরসভার তরফে বাসিন্দাদের জানানোও হয়েছে। সময় কম দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। তবে আবেদনকারীদের আয়ের শংসাপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আবেদনপত্র জমার পরেই মহকুমাশাসকের প্রতিনিধি ও পুরসভার প্রতিনিধি তদন্তের সময় এ বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন যে, পরিবার আদৌ বিপিএল তালিকাভুক্ত কি না।’’
পুরপ্রশাসক অবশ্য সাফ জানিয়েছেন, সরকারি এবং খাস জায়গার উপর থাকা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পরিবারের সাহায্যের আবেদন গ্রাহ্য করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy