প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি জেলায় বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পান বরজ ভেঙে, বাদাম, তিল ও আনাজ চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে কৃষকরা সঙ্কটে পড়েছেন। এ ছাড়াও জেলার বেশকিছু এলাকায় মাঠ থেকে বোরোধান কেটে তোলার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের বাড়ি ও কৃষকদের পান বরজ ফের তৈরির জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে আর্থিক সাহায্য দেওয়া শুরু করেছে। এছাড়া বাদাম ও তিল প্রভৃতি চাষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এজন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জন্য ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, সামনেই বর্ষা। আমন ধান চাষের মরসুম শুরু হবে। এছাড়াও আনাজ-সহ বর্ষাকালীন বিভিন্ন ফসলের চাষ শুরু হবে। কৃষকরা যাতে দ্রুত এই সব চাষে তাড়াতাড়ি নামতে পারেন সেজন্য দ্রুত সরকারি আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিতে উদ্যোগী সরকার। আমপানে জেলায় কৃষিক্ষেত্রে মোট ৩১৯৯টি মৌজার মধ্যে ৩১০০ টি মৌজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। জেলায় মোট ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৬৫৩ হেক্টর জমির চাষের ক্ষতি হয়েছে। পান, ফুল, আনাজ চাষের পাশাপাশি বাদাম ও তিল চাষেরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের পান বরজ তৈরির জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা ইতিমধ্যেই হয়েছে। টাকা দেওয়াও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া বাদাম ও তিল-সহ অন্যান্য চাষে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর, আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত মৌজা হিসেবে ঘোষিত এলাকার কৃষকদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এককালীন অর্থ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টে সরাসরি এই টাকা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি দফতরের উপ-অধিকর্তা আশিস বেরা বলেন, ‘‘আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিকভাবে সাহায্য দিতে ৬০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের এই আর্থিক সাহায্য দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy