মেদিনীপুরের বড়বাজারের একটি পোশাক বিপণিতে। নিজস্ব চিত্র
মাস আটেক ধরে চলা অতিমারিতে বাঙালির পকেটে টান। যার প্রভাব পড়েছে পুজোর কেনাকাটাতেও। তবে গত কয়েকদিনের চেয়ে পুজোর আগের শেষ রবিবারে বাজারে ভিড় জমলেও, বিক্রিবাটা হল কই! সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন শপিং মলগুলিতে ভিড় হলেও কেনাকাটা হয়েছে মেপেই।রবিবার দুই মেদিনীপুরের অধিকাংশ বাজারেই দেখা গেল এমনই চিত্র।
খড়্গপুরের নিউ সেট্লমেন্টের একটি জনপ্রিয় শপিং মলের সেল্সের টিম-লিডার স্বপন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গত কয়েকদিনের তুলনায় শেষ রবিবার বলে ভিড় বেড়েছে। ক্রেতারা যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুই বেছে বেছে কিনছেন।” অবশ্য শপিং মলের তুলনায় শহর ও গ্রামের বাজারের ছোট দোকানগুলিতে ভিড় ছিল আরও কম। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় যে বাজার জমজমাট ছিল তা মানছেন সকলেই।
মেদিনীপুর শহরেও একই ছবি। শহরের বড়বাজারের এক বস্ত্র বিপণীর মালিক নারায়ণ তাপাড়িয়া বলেন, “করোনার জন্য এ বার বিক্রিবাটা কমবে জানতাম। তবে তারই মধ্যে যতটুকু বিক্রি হবে ভেবেছিলাম, সেটা হয়েছে।’’ জেলা সদরের একটি ছোট জামা-কাপড়ের দোকানের মালিক নিমাই সাহার কথায়, ‘‘অন্য বছর পুজোর আগে শেষ রবিবারে কত ভিড় হত, এ বার তো ফাঁকাই যাচ্ছে।’’ খড়্গপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র গোলবাজারের মতো বাজারেও বিক্রেতাদের মন ভরেনি শেষ রবিবারের বাজারে। গোলবাজারের প্রতিষ্ঠিত একটি কাপড় দোকানের কর্মী প্রেমানন্দ চক্রবর্তী বলেন, “আগের মতো সাত-আট হাজার টাকার শাড়ি নয়, বরং তিন-চার হাজারের শাড়ি বেশি দেখছেন।” পুজোর আগে শেষ রবিবারেও ভিড় নেই চন্দ্রকোনা রোড, ঘাটাল, গড়বেতা, সবং, ডেবরা, বেলদার মতো বাজারেও যদিও ছবিটা যেন একটু অন্য ছিল ঝাড়গ্রাম বাজারে। স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে পোশাক কিনতে ভিড় করেন ক্রেতারা। তবে অভিজাত শো-রুমগুলিতে ভিড় হলেও বাকি দোকানগুলির বেশিরভাগ ফাঁকাই ছিল।
অবশ্য পোশাকের সঙ্গে মানানসই মাস্ক যেন এ বারের পুজোয় ‘মাস্ট’ হয়ে গিয়েছে। খড়্গপুরের গোলবাজারের মাস্ক ব্যবসায়ী সঞ্জয় মৌরিয়া বলেন, “করোনা শুরুর পরে দোকানে এসে লোক এন-৯৫ মাস্ক খোঁজ করছিল। এখন পুজোর বাজারে গুণগত মান নয়, বরং স্টাইলিশ নানা রকম মাস্ক কিনছে মানুষ।” ঝাড়গ্রামে আবার কয়েকটি দোকানে নির্দিষ্ট দামের কেনাকাটার সঙ্গে ব্রান্ডেড কোম্পানির মাস্কও বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy