করোনা সতর্কতায় প্রাথমিক ও হাইস্কুলে ছুটি ঘোষণা হয়েছিল আগেই। গত ২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর থেকে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি গরমের ছুটি জুড়ে দিয়ে স্কুলের ছুটি বাড়িয়ে আগামী ১০ জুন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও হাইস্কুলে ছুটির ফলে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ানো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সঙ্কট কাটাতে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ানোর পরিবর্তে তাঁদের চাল ও আলু বিলির সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া হয় স্কুলগুলিকে। এর জন্য পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের জন্য বরাদ্দ চাল এবং বাজার থেকে আলু কিনে তা অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।
প্রথম দফায় এই ভাবে গত ২৩ মার্চের মধ্যে স্কুলগুলিতে পড়ুয়া পিছু ২ কিলোগ্রাম চাল ও ২ কিলোগ্রাম আলু বিলি করার পর দ্বিতীয় দফায় ফের পড়ুয়াদের জন্য দেড় মাসের বরাদ্দ হিসেবে ৩ কিলোগ্রাম চাল ও ৩ কিলোগ্রাম করে আলু বিলির নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক) অফিস থেকে এবিষয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ও বিদ্যালয়গুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। জেলার স্কুলগুলিতেও এই নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ২০ এপ্রিল থেকে স্কুলগুলিতে ফের চাল-আলু বিলি শুরু করা হবে। এর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রথম দফায় চাল-আলু বিলি করতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখে পড়ার অভিযোগ তুলেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। স্কুলে অভিভাবকদের ভিড় এড়িয়ে চাল-আলু বিলির নির্দেশিকা দেওয়া হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা মানা যায়নি বলেও অভিযোগ। এমন কী করোনার সতর্কতা বিধি মেনে পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে নিষেধ করা হলেও বেশ কিছু স্কুলে পড়ুয়াদের ভিড় দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় দফাতেও সেরকম হওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ।
তবে এ বার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে চাল-আলু বিলির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সতর্কতা নেওয়ার বিষয়ে সরকারিভাবে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে বিষয়ে ৬ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। মিড-ডে মিলে চাল, আলু ছাড়াও ডাল, সয়াবিন, ডিম দেওয়ার দাবিও তুলেছেন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাউ বলেন, ‘‘মিড-ডে মিলের তরকারি বাবদ যে খরচ দেওয়া হয়ে থাকে সেই টাকায় পড়ুয়াদের জন্য ডাল, সয়াবিন ও ডিমের ব্যবস্থা করা হোক।’’
পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) শেখর সেন বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের জন্য চাল ও আলু বিলির সরকারি নির্দেশিকা এসেছে। করোনা সতর্কতা বিধি মেনে চলার প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে ‘কম্পোজিট স্কুল গ্র্যান্ট’ থেকে অর্থ বরাদ্দ করতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy