Advertisement
২০ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

ভিন্ জেলার শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানো শুরু

নারায়ণগড়ের নেকুড়সেনিতেও স্কুলের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে থাকা ভিন্ জেলার শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

রওনা: বাসে চেপে বাড়ির পথে শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

রওনা: বাসে চেপে বাড়ির পথে শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন ‌
শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ০০:০৪
Share: Save:

ল‌কডাউনে আটকে যাওয়া ভিন্ জেলার শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানো শুরু করল প্রশাসন।

শুক্রবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে যাওয়া শ্রমিকদের খড়্গপুরের চৌরঙ্গী সংলগ্ন বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে আনা হয়। সেখান থেকে তাঁদের বাসে তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁরা যাতে নিজেদের এলাকায় গিয়ে সমস্যায় না পড়েন তাই জন্য ‘ফিট সার্টিফিকেট’ও দেওয়া হয়েছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “সরকারি নির্দেশ মেনেই সরকারি আশ্রয়ে থাকা ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। খড়্গপুর মহকুমার ২৩০ জন-সহ গোটা জেলা থেকে প্রায় ৪০০ শ্রমিককে ২০টি বাসে পাঠানো হয়েছে।”

নারায়ণগড়ের নেকুড়সেনিতেও স্কুলের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে থাকা ভিন্ জেলার শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে তাঁদেরও বাসে তুলে দেওয়া হয়। ওই কেন্দ্রে ১০১ জন ছিলেন। ১৩ জন বাদে বাকিরা ভিন্ জেলার। এঁদের কয়েকজন ওড়িশা থেকে হেঁটেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। বেলদায় তাঁদের আটকানো হয়েছিল। নারায়ণগড়ের বিডিও বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, কোয়রান্টিন সেন্টারে যাঁরা ছিলেন তাঁরা মূলত কলকাতা, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূমের বাসিন্দা। সবাইকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ঘাটালেও লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। শনিবার ঘাটাল এবং ক্ষীরপাই ব্লকে সরকারি শিবিরে থাকা ১৭৬ জনকে বাড়ি পাঠানো হয়। সরকারি নির্দেশে শুক্রবার ওই শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আলু তোলার কাজে এসে চন্দ্রকোনায় একাধিক হিমঘরে অনেক শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তাঁরা সংশ্লিষ্ট হিমঘরেই রয়েছেন। তাঁদের রবিবার বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

সিআরপির জওয়ানেরাও পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সিআরপির ৬৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা শুক্রবার ও শনিবার গোয়ালতোড়ের বিভিন্ন হিমঘরে গিয়ে ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকদের খিচুড়ি দিয়ে আসেন। গোয়ালতোড়ের হুমগড় ও তার আশেপাশের কয়েকটি হিমঘরে প্রায় এক হাজার শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বিভিন্ন রাজ্যে থেকে এখানে আলু সংরক্ষণের কাজে এসেছিলেন। হিমঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে ব্লক প্রশাসন।

শনিবার সিআরপির জওয়ানেরা গোয়ালতোড়ের গাঙদুয়ারি, সুবলবাঁধি, কুমারি গ্রামে গিয়ে স্যানিটাইজ়ার-সহ কয়েকটি প্রয়োজনীয় সামগ্রীও তুলে দেন। ছিলেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট অজয়কুমার সিংহ, ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডান্ট গৌতমকুমার মিত্র প্রমুখ।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy