সোমবার সুনসান দিঘা। নিজস্ব চিত্র
কোথাও হোটেল খোলা থাকা সত্ত্বেও দিনভর পা পড়ল না পর্যটকের। আবার কোথাও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় খোলাই হল না হোটেল।
প্রথম ছবিটি রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমণির। দ্বিতীয়টি আর এক জনপ্রিয় সৈকত শহর দিঘার। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে সোমবার থেকে দিঘা সহ গোটা রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলি খোলার ব্যবস্থা হলেও এ দিন এমনই ভিন্ন ছবি দেখল সৈকতের দুই পর্যটন কেন্দ্র- মন্দারমণি ও দিঘা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দারমণিতে সমস্ত হোটেল সোমবার থেকে খোলা হবে বলে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন হোটেল মালিকরা। এদিন মন্দারমণি বাসস্ট্যান্ড এবং মূল সৈকত সংলগ্ন এলাকায় কোনও হোটেল কিংবা লজ না খুললেও মন্দারমণি উপকূল থানা পেরিয়ে যে সব হোটেল রয়েছে সেগুলির বেশ কিছু খোলা হয়। একটি হোটেলের ম্যানেজার অমৃতশঙ্কর দাস বলেন, ‘‘সারাদিন কোনও পর্যটকের দেখা মেলেনি। তবে বেশ কিছু পর্যটক ফোনে খোঁজ নিয়ে আসতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।’’ আর একটি হোটেলের তরফে উত্তম বেরা জানান, হোটেলের সমস্ত কর্মচারীদের হাতে দস্তানা, মুখে মাস্ক এবং সব সময় জীবাণুনাশক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। আর যে সব পর্যটক এখানে বেড়াতে আসবেন তাঁদের প্রাথমিকভাবে হোটেলে ঢোকার আগে যাবতীয় জিনিস জীবাণুমুক্ত করা হবে তারপর হোটেলে ঢুকতে দেওয়া হবে। একদিন অন্তর হোটেলের সমস্ত ঘর জীবাণুমুক্ত করা হবে। তারপর পর্যটকদের ওই ঘর দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় গত শনিবার মন্দারমণিতে হোটেল খোলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে রামনগর-২ ব্লকে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দেয় এলাকার বাসিন্দারা। তারপর অশান্তির আশঙ্কায় এ দিন মন্দারমণির মূল অংশে কোনও হোটেল, লজ ও বাজার খোলা হয়নি। স্থানীয়দের আপত্তি নিয়ে রামনগর-২ এর বিডিও অর্ঘ্য ঘোষ জানান, পঞ্চায়েত স্তরে স্থানীয়দের নিয়ে হোটেল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে।
এ দিন প্রায় জনমানব শূন্য ছিল গোটা দিঘা। ওল্ড এবং নিউ দিঘায় কোনও হোটেল, লজ খোলা ছিল না। দিঘা থেকে হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলাচল ছাড়া সেরকম কিছুই চোখে পড়েনি। এমনকী দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নিজস্ব অতিথি আবাসনও বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন পর্ষদের এক আধিকারিক। নিউ দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক জানা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ হোটেল খুলেছেন। তবে পর্যটন কেন্দ্র চালু হয়ে গেলে হোটেলগুলি কী ভাবে চালানো হবে তা নিয়ে মালিকদের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা করা হবে কয়েকদিনের মধ্যেই। তারপর কবে খোলা হবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’’
দিঘায় হোটেল না খোলা নিয়ে স্থানীয় সাংসদ ও দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী জানান, পর্যটন কেন্দ্র খোলা যাবে বলে রাজ্য সরকার নির্দেশিকা দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কে কী ভাবে হোটেল খুলবে, তা সম্পূর্ণ হোটেল মালিকদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy