ফাইল চিত্র।
লকডাউনের মধ্যেই স্বাদ বদলের সুযোগ করে দিচ্ছে ঝাড়গ্রামের একাধিক হোম ডেলিভারি সংস্থা। কিন্তু সেই খাবারের মান কেমন? কীভাবে রান্না হচ্ছে হোম ডেলিভারির খাবার? সে সব জানতে এবার সরেজমিনে নজরদারি করবে ঝাড়গ্রাম পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগ। সরকারি ছাড় মেলায় শহরে কিছু মিষ্টির দোকান এখন খোলা হচ্ছে। তবে সব দোকানে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি-না সেই প্রশ্ন তুলেছেন ক্রেতাদের একাংশ।
প্রশাসন সূত্রের জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় এখনও কোনও করোনা আক্রান্তের খবর নেই। জেলায় লকডাউন সুষ্ঠু ভাবে চলার জন্য শনিবারই প্রশাসনিক বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব নবীন প্রকাশ। তবে একইসঙ্গে সব ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে কি-না সে ব্যাপারে উপযুক্ত নজরদারি করতে বলেছেন তিনি। তাই এ বার হোম ডেলিভারির খাবারেও নজরদারির ব্যবস্থা করেছে পুরসভা।
ঝাড়গ্রাম শহরে এখন ফোনে অর্ডার দিলেই হরেক সুস্বাদু নানা পদ পৌঁছে যাচ্ছে বাড়িতে। কর্মসূত্রে যাঁরা ঝাড়গ্রামে রয়েছেন তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে দু’বেলা খাবার নেন। লকডাউনের শহরে সেই খাবারও নিয়মিত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি-বাড়ি।
হোম ডেলিভারি সংস্থাগুলির দাবি, উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা এলাকার একটি রেস্তোরাঁ নববর্ষের আগে চালু করেছে হোম ডেলিভারি। ওই রেস্তোরাঁর মালিক রাজ গিরি বলেন, ‘‘লকডাউনের ফলে রেস্তোরাঁ বন্ধ হলেও রন্ধনকর্মীরা কেউই বাড়িতে যেতে পারেননি। তাঁরাই উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি করছেন। রান্নার সময়ে হেডক্যাপ, মাস্ক ও গ্লাভস পরা হচ্ছে।’’
শহরের রঘুনাথপুর এলাকার বহু পুরনো একটি হোম ডেলিভারি সংস্থার কর্তা বিজয় সরকার জানালেন, তাঁরা ২৫ জন স্থায়ী খদ্দেরের বাড়িতে নিয়মিত দু’বেলা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। বিজয়েরও দাবি, উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার তৈরি করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy