Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে আশায় ভাটা মালিকেরা

গত ১১ এপ্রিল ভারত সরকারের উদ্যোগ সংবর্ধনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বিভাগের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি  জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে কিছু কিছু উৎপাদন ক্ষেত্রকে লকডাউনে ছাড় দেওয়া যেতে পারে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিয়া শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫৩
Share: Save:

হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নোটিস। তাতেই আশার আলো দেখছে ইটভাটাগুলি।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৬০০-র বেশি সরকার অনুমোদিত ইটভাটা রয়েছে। ইট তৈরি ও ব্যবসার উপর নির্ভর করে এই জেলার বহু মানুষের জীবিকা। নগরায়নের জেরে আর্থিক মন্দার থাবা ইটভাটাতেও। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ উৎপাদন ইটভাটা। লকডাউনের নীতি মেনেই বন্ধ ইটভাটায় ইট তৈরি।

কিন্তু গত ১১ এপ্রিল ভারত সরকারের উদ্যোগ সংবর্ধনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বিভাগের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে কিছু কিছু উৎপাদন ক্ষেত্রকে লকডাউনে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ওই উৎপাদন ক্ষেত্রে থাকতে হবে একটি প্রবেশপথ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা এবং পরিচ্ছন্ন থাকার মতো উপযুক্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এই বিষয়গুলি মান্য করে চলার মতো অবস্থান থাকলে জেলাশাসকের অনুমতিক্রমে উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি লকডাউনেও চালু করা যেতে পারে। আর এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে আশা দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ইটভাটার মালিকেরা।

তাঁদের মতে, কালীপুজোর পর থেকেই ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা ইটভাটায় চলে এসেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণার পরে সমস্ত কাজ বন্ধ। ২১ দিন ধরে শ্রমিকদের খাওয়া-পরার ভার নিতে হয়েছে মালিকদেরই। পূর্ব মেদিনীপুরের ইটভাটায় ভিন্ রাজ্যের প্রায় ২২ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। এদিকে সামনেই কালবৈশাখী এবং বৃষ্টি বাদলের দিন আসতে চলেছে। তখনও উৎপাদন বন্ধ থাকবে। এই অবস্থায় ক্ষতির মুখে ইটশিল্প। তাই পরিস্থিতি বিচার করে ওই বিজ্ঞপ্তিতে থাকা সমস্ত শর্ত মেনে জেলাশাসকের অনুমতি মিললে ইটভাটায় উৎপাদন তাড়াতাড়ি শুরু হতে পারে।

তাম্রলিপ্ত ব্রিকফিল্ড অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ইদ্রিস আলি বলেন, ‘‘যেহেতু এতদিন ধরে শ্রমিকরা এখানে বসে রয়েছেন। তার উপর উৎপাদন বন্ধ। স্বভাবতই আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নোটিসে যে সমস্ত শর্ত আরোপ করা হয়েছে, সেই সমস্ত শর্ত মানার অবস্থায় রয়েছে ইটভাটাগুলি।’’

তিনি আরও জানান, ইটভাটায় বাইরের লোক চট করে আসা-যাওয়া করতে পারেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো যথেষ্ট পরিসরও এখানে রয়েছে। তা ছাড়া লকডাউনের শুরু থেকেই কর্মীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ভাটা মালিকরা নজরে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রে জেলাশাসক যদি অনুমতি দেন তা হলে তাড়াতাড়ি উৎপাদন শুরু হতে পারে। জেলাশাসকের কাছে ইটভাটা চালু করতে অনুমতির জন্য আবেদন জানানো হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy