করোনা পরিস্থিতিতেও তৃণমূলের ‘গোষ্ঠী কোন্দল!’
নিভৃতবাস কেন্দ্রে (কোয়রান্টিন সেন্টার) পরিযায়ী শ্রমিক রাখা নিয়ে তমলুকে তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরব দলেরই এক কাউন্সিলর। এতে তমলুক শহর তৃণমূলে আলোড়ন পড়েছে।
কয়েকদিন ধরে জেলায় ফিরছেন ভিন্ রাজ্যের শ্রমিকেরা। তাঁদের গৃহ নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে অনেক শ্রমিকের বাড়িতে জায়গা না থাকায় তাঁরা সরকারি নিভৃতবাসেও থাকছেন। সেই নিভৃতবাসের থাকা নিয়ে তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেনকে কাটাক্ষ করেছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চামেলি দাস সামন্ত।
ফেসবুকে কাউন্সিলর লিখেছেন, ‘১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেলথ সেন্টার বর্তমানে খালি। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ জন পরিযায়ী শ্রমিককে রাখা যেত (হল মাঠের মধ্যে অবস্থিত)। তা না করে চেয়ারম্যান (তমলুক মিউনিসিপ্যালিটি) ১ নম্বর ওয়ার্ডে লোকালিটিতে অবস্থিত কমিউনিটি হলে রেখে ওয়ার্ডবাসীকে খেপিয়ে তুলছেন। নিজের ওয়ার্ড শান্ত রেখে আমাদের ওয়ার্ডের মানুষকে টিএমসি বিরোধী করা চেষ্টায় নেমেছেন। ওই ওয়ার্ডে অতিথিনিবাস ছিল সেখানেও রাখতে পারতেন। তা-ও করলেন না’।
এখানেই থামেননি চামেলি। তিনি লিখেছেন, ‘১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিউনিটি হল, এলাকাবাসীর দেওয়া জায়গার উপর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর টাকায় হলটি নির্মিত। এলাকাবাসীর সেন্টিমেন্ট না বুঝে চেয়ারম্যান নিজের নিজের সম্পত্তি মনে করেন’। এরপর আরও কয়েকটি ছবির বিষয়ে উল্লেখ করে চামেলি লিখেছেন, ‘‘আমি চেয়ারম্যানকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছি, তাই উনি আমাকে পটাশিয়াম সাইনাইড খাওয়াচ্ছেন। দলের শত্রু দলের ভেতরে আছে। চোখ রাখুন আরও খবর নিয়ে ফিরবো’।
কেন এমন পোস্ট দিয়েছেন, তা জানতে ফোন করা হয়েছিল চামেলিকে। তবে তিনি ফোন ধরেননি। চামেলির ক্ষোভ প্রসঙ্গে পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন বলেন, ‘‘সমাজ মাধ্যমে ওই পোস্ট আমি এখনও দেখিনি। তবে শুনেছি। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার জন্য ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই হল এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রত্নালি এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই হল পুরসভার সম্পত্তি। কোনও ওয়ার্ডের নিজস্ব নয়। আর ওই ওয়ার্ডের যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁরা কোথায় আছেন সেটা খোঁজ নিয়ে দেখুন।’’
তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রবিবার। তাঁর আগে দলের কাউন্সিলরের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ায় অস্বস্তিতে শহর তৃণমূল। শহর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বনাথ মহাপাত্র বলেন, ‘‘কেন সমাজ মাধ্যমে এমন মন্তব্য করলেন সে নিয়ে ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy