Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
digha

সৈকতে পর্যটক সেই হাতেগোনাই

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে— শুক্রবার থেকেই মন্দারমণি, সিলামপুর, দাদনপাত্রবাড় এলাকায় সব ক’টি হোটেলই খুলে গিয়েছে এবং প্রতিটি হোটেলই কম-বেশি পর্যটক রয়েছে বলে খবর। তবে সৈকত এলাকায় দোকান-পাট সে ভাবে খোলা না থাকায়, রাস্তায় দেখা যায়নি অধিকাংশ পর্যটককে।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্দারমণি ও দিঘা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২০ ০৩:২০
Share: Save:

লকডাউনের জট কাটিয়ে ছন্দে ফেরার চেষ্টায় পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত পর্যটন। শনিবার মন্দারমণিতে সব ক’টি হোটেলই খোলা ছিল। শুক্রবার থেকে অগ্রিম বুকিং নেওয়াও শুরু করেছে হোটেলগুলি। সেই মতো শনিবার বেশ কিছু পর্যটক মন্দারমণি এসে পৌঁছন। দাদনপাত্রবাড় এলাকার এক হোটেল মালিক সত্যরঞ্জন মিশ্রর কথায়, ‘‘শুক্রবার রাতে দু’টি পরিবার এসেছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাঁদের হোটেলে ঘর দেওয়া হয়।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে— শুক্রবার থেকেই মন্দারমণি, সিলামপুর, দাদনপাত্রবাড় এলাকায় সব ক’টি হোটেলই খুলে গিয়েছে এবং প্রতিটি হোটেলই কম-বেশি পর্যটক রয়েছে বলে খবর। তবে সৈকত এলাকায় দোকান-পাট সে ভাবে খোলা না থাকায়, রাস্তায় দেখা যায়নি অধিকাংশ পর্যটককে। কলকাতার ভবানীপুর থেকে আসা ডলি বিশ্বাস নামে এক পর্যটক বলছিলেন, ‘‘সপ্তাহ দু’য়েক আগে মন্দারমণি এসেছিলাম। তখন প্রশাসনিক নির্দেশ থাকলেও হোটেলের ঘর ভাড়া দেওয়া হয়নি। ফলে ফিরে গিয়েছিলাম। শুক্রবার রাতে পুনরায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। তবে এবার আর সমস্যায় পড়তে হয়নি।’’

গত ৮ জুন থেকে সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। মন্দারমণিতে বেশ কিছু হোটেল খোলা থাকলেও পর্যটকদের ঘর ভাড়া দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত স্তরে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে শুক্রবার থেকে সমস্ত হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন মন্দারমণির হোটেল মালিক সংগঠনের সভাপতি সন্দীপন বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সব হোটেল খোলা হয়েছে। প্রতিটি হোটেলেই দু’-একটি করে পর্যটক দল এসেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। আগামী সপ্তাহের জন্য বুকিংয়েও ভালই সাড়া মিলছে।’’

অন্য দিকে, শনিবারও কার্যত সুনসান ছিল সৈকত শহর দিঘা। ওল্ড ও নিউ দিঘা মিলিয়ে ৬৫০-র বেশি হোটেল রয়েছে। দুই জায়গাতেই হাতেগোনা কয়েকটি হোটেল খোলা ছিল এদিন। সেখানে অল্প কয়েকটি পরিবার শনিবারের ছুটি কাটাতে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সরকারি আবাসনগুলি খোলা থাকলেও সেখানে পর্যটকদের থাকার খবর মেলেনি। দিঘায় সমস্ত দোকানপাটও বন্ধ ছিল এদিন। ওল্ড দিঘার এক খেলনা দোকানদার বলেন, ‘‘পর্যটক কোথায়? তাই কেউ দোকান খুলছেন না।’’ দিঘা থেকে কলকাতা বাস পরিবহণও শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। তা-ও কার্যত পর্যটকহীন সৈকত শহর। এ ব্যাপারে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অধিকাংশ পর্যটক ট্রেনে চেপে দিঘা আসেন। সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ফাঁকাই থাকছে দিঘা।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Digha Mandarmani Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy