Advertisement
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
coronavirus

টিকার সঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

শুধু অগ্রাধিকার শ্রেণির ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২১ ০৬:০৮
Share: Save:

ঘাটাল: পুর হাসপাতালে পুরোপুরি বন্ধ। সুপার স্পেশালিটি-সহ বাকি বাকি পাঁচটি গ্রামীণ হাসপাতালে শুধু ৪৫ ঊর্ধ্বদের (অগ্রাধিকার শ্রেণি) করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিক প্রধান ঘাটাল মহকুমায় করোনা টিকাকরণের ছবিটা এখন এমনই।

ঘাটাল পুরসভা সূত্রে খবর, রাজ্যে জুড়ে করোনা টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরে পরেই ঘাটাল পুর হাসপাতালে করোনা টিকা কর্মসূচি শুরু হয়। পুর এলাকার অনেকেই ওই হাসপাতালে এসে টিকা নিয়েছেন। এখন সেখানে ব্যবসায়ী, শিক্ষক, হকার, ব্যাঙ্ক কর্মী-সহ অগ্রাধিকার শ্রেণির টিকাকরণের কাজ চলছিল। প্রতিদিন গড়ে কয়েকশো মানুষ টিকা পাচ্ছিলেন। কিন্তু টিকার ভাঁড়ার ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য গত তিন-চার দিন ধরে সেখানে টিকাকরণ পুরোপুরি বন্ধ। বিষয়টি ঠিকঠাক প্রচার না হওয়ায় অনেকে এসে ফিরেও যাচ্ছেন। তবে আজ, সোমবার ওই হাসপাতালে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স এমন ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘাটাল পুরসভার প্রশাসক বিভাস ঘোষ বলেন, “অনেকের নাম লেখানো রয়েছে। ফলে প্রতিদিন ভিড় হচ্ছে। পুরসভার তরফ থেকে প্রচার হচ্ছে।”

ওই মহকুমার পাঁচটি গ্রামীণ হাসপাতাল-সহ ঘাটাল সুপার স্পেশালিটিতেও টিকাকরণের গতি ভাল নয়। দিন কয়েক ধরে সেখানেও টিকার সঙ্কট চলছে। শুধু অগ্রাধিকার শ্রেণির ৪৫ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তার বাইরে অনেকেই টিকা নিতে আসছেন এবং না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এর ফলে ক্ষোভও বাড়ছে। অনেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রথম করোনা সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছিল এই ঘাটাল মহকুমাতেই। তিনি ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। সদ্য বাড়ি ফিরেছিলেন। এ বার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীনও অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে থেকে এই মহকুমায় ফিরেছেন। বাইরে থেকে পড়াশোনা করেন এমন অনেক ছাত্র-ছাত্রীও বাড়িতে ফিরে এসেছেন। তাঁদের অনেকেই টিকার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরছেন। কিন্তু ৪৫ এর নীচে টিকাকরণ না হওয়ায় হতাশ হতে হচ্ছে তাঁদের। ঘাটাল শহরের রামচন্দ্রপুরের যুবক বিমল সামন্তের ক্ষোভ, ‘‘আমি মুম্বইয়ে থাকি। সোনার কাজ করি। টিকার জন্য ছটফট করছি। প্রতিদিন যাচ্ছি। দ্রুত কর্মসূত্রে ফিরতে হবে কিন্তু টিকা পাচ্ছি না। আমাদের মতো যারা বাইরে কাজ করি তাঁদের প্রশাসন থেকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে খুব ভাল হয়।’’

সমস্যার কথা মেনে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “পর্যাপ্ত টিকা নেই। টিকা এলেই সংশ্লিষ্ট সব হাসপাতালে আবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে সব হাসপাতালেই টিকা দেওয়া চালু আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE