—ফাইল চিত্র।
করোনার থাবা বড়দিনের কেকেও।
বছরভর বাজার কমবেশি থাকলেও প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর থেকে ইংরেজি নতুন বছরের এই সময়ে কেকের চাহিদা বাড়ে। ফলে অপেক্ষা করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ বার বিধি বাম। গত ১০ মাস ধরে করোনা পরিস্থিতির জেরে মাথায় হাত পড়েছে কেক ব্যবসায়ীদের।
উৎসব প্রিয় মানুষ বিশেষ করে বাঙালিরা কেক ছাড়া বড়দিনের কথা ভাবতেই পারেন না। ২৫ ডিসেম্বরের আগে থেকেই দোকান ভরে ওঠে নানা রকম স্বাদের কেকের পসরায়। এ বছর ছবিটা আলাদা। দোকানে দোকানে কেক সাজানো থাকলেও আগ্রহী নন ক্রেতারা। অনেকের ধারণা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কেক তৈরিতে সরাসরি কাঁচামালের সংস্পর্শে আসেন কারিগর। তাই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সমাজ মাধ্যমে পাওয়া নানা ধরনের কেকের রেসিপি নিয়ে অনেকে আবার ঘরেই কেক তৈরিতে নেমে পড়েছেন।সব মিলিয়ে বাজারের চাহিদা এ বার অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
হলদিয়ার একটি কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার অতনুকুমার দাস বলেন, ‘‘আমাদের এখানে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কেক তৈরি করা হচ্ছে। তবুও মানুষের মনে করোনা নিয়ে একটা ভয় সবসময় কাজ করছে। সে জন্য কেক বিক্রিতে গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বার ভাটা পড়েছে।’’ স্থানীয় এক কেকের দোকানের মালিক টুবলু দাস বলেন, ‘‘আগের বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ৩০ শতাংশ বিক্রি কমেছে। করোনার জন্য কেকের ওপর অনেকে ভরসা করতে পারছেন না। তা ছাড়া বাড়িতেই তো এখন অনেকে কেক তৈরি করছেন।’’ গৃহবধূ পিয়ালি মণ্ডলের কথায়, ‘‘বাড়িতে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা রয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হচ্ছে। বাইরের কোনও খাবারে হাত দিচ্ছি না। ঠিক করেছি, এ বার বাড়িতেই তাই কেক বানিয়ে বড়দিন উপভোগ করব।’’
চিকিৎসকদের অবশ্য দাবি, খাবারের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ ছড়ায় না। চিকিৎসক সমীররঞ্জন খাড়া বলেন, ‘‘দোকান থেকে কিনে নিয়ে এসে উপরের মোড়কটা ফেলে দিতে হবে। তারপরে হাত জীবাণুমুক্ত করে নিয়ে কেক খেলে কোনও অসুবিধা নেই। দরকার একটু সচেতনতা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy