পুজোর ছুটিতে ভিড় বাড়ছে সৈকতে। ফাইল চিত্র।
হাইকোর্টের রায়ে এ বার মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ। তাই পুজোর ভিড় এ বার আছড়ে পড়েছে সৈকত শহরগুলিতে। একই সঙ্গে শিকেয় উঠেছে স্বাস্থ্যবিধিও। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর— সর্বত্র একই ছবি।
সমুদ্র সৈকত হোক কিংবা হোটেল— কোথাও সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই দিঘায়। ওল্ড দিঘা এবং নিউ দিঘার প্রতিটি স্নানের ঘাটেই প্রচুর পর্যটককে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশের মুখে মাস্কও নেই। মাস্ক পরেননি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বারাসত থেকে আসা এক দম্পতির সাফাই, ‘‘হোটেল থেকে বেরোনোর সময় মাস্ক ফেলে চলে এসেছি। তাছাড়া পুলিশও তো এখন মাস্ক নিয়ে অতটা কঠোর নয়।’’
সরকারি নির্দেশিকা মেনে জুলাই মাসের গোড়াতেই দিঘার হোটেল-লজ খুলে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে ভিড়ও বাড়তে শুরু করে। পুজোর মরসুমে তা অনেকটাই বেড়েছে। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত বেশিরভাগ ঘরের বুকিং আগে থেকেই করা আছে। পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ, আগে থেকে জানিয়ে এলেও অনেক হোটেল-লজের ঘর নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে না। দেহের তাপমাত্রাও নিয়মিত মাপা হচ্ছে না।
হোটেল মালিকেরা অবশ্য সেই অভিযোগ মানতে নারাজ। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উৎসবের মরসুম শুরুর আগে সব হোটেল মালিকের কাছে প্রশাসনিক নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। হোটেলগুলিতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। ঘরও জীবাণুমুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে।’’
প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ-প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়েও। কারণ রাস্তায় পুলিশ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার জন্যে কাউকে কিছু সে ভাবে বলতে দেখা যাচ্ছে না তাঁদের। যদিও কাঁথির মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্যের কিন্তু দাবি, ‘‘মাস্কবিহীন পর্যটকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য স্থানীয় থানাকে বলা আছে।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পর্যটকদের মাস্ক ব্যবহার করার জন্য বার বার আবেদন জানানো হচ্ছে। আগামী দিনে সচেতনতা নিয়ে প্রচার আরও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy