পরিদর্শন: অস্থায়ী নিভৃতবাসের স্থান বাছাইয়ে প্রশাসনিক কর্তারা। বুধবার দাঁতনের সোনাকনিয়ায়। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরে আসা মানুষকে রাখতে নাকাল হচ্ছে প্রশাসন। নিভৃতবাস কেন্দ্রের পরিকাঠামো ঘিরে নানা অব্যবস্থার অভিযোগ উঠছে। ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরতে পারেন আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিক ও পড়ুয়ারা। দিন দু’য়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ বার পরিস্থিতির মোকাবিলায় তাঁবু দিয়ে অস্থায়ী নিভৃতবাস কেন্দ্র গড়ার কাজে নামল প্রশাসন।
খড়্গপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় এমন তাঁবু গড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বুধবারই দাঁতনের সোনাকানিয়া, বেলদার নেকুড়সেনি এলাকা পরিদর্শনে যান মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ। এই দুই এলাকাতেই তাঁবু দিয়ে নিভৃতবাস কেন্দ্র গড়তে জমি বাছাই করা হয়েছে এ দিন। এক-একটি তাঁবুতে প্রায় পাঁচশো জন মানুষকে রাখার পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে এই তাঁবু ঘেরা অস্থায়ী নিভৃতবাস কেন্দ্রগুলিকে কাজে লাগানো হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বেশি দিন নয়। ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনা মানুষকে দিন দু’য়েক ওই তাঁবুতে রেখে করোনা পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “ভিন্ রাজ্য থেকে যদি অনেক বেশি মানুষ একসঙ্গে চলে আসেন তবে স্থায়ী কোয়রান্টিন কেন্দ্রে সকলকে রাখার জায়গার অভাব দেখা যেতে পারে। তাই আমরা সঙ্কটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তাঁবুতে কিছু মানুষকে অস্থায়ী কোয়রান্টিন করতে পারি। তাই আমরা তাঁবু দিয়ে তিনটি এলাকায় এমন অস্থায়ী কেন্দ্র গড়ার আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছি।”
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজস্থানের কোটায় আটকে থাকা এই রাজ্যের পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। আপাতত ওই ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিক ও পড়ুয়াদের সংখ্যা নিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। মহকুমাশাসক বলেন, “মনে হচ্ছে কোটায় আটকে থাকা পড়ুয়াদের আগে ফেরানো হবে। এর পরে যদি পরিযায়ী শ্রমিক আসে তবে প্রয়োজনে এই অস্থায়ী কেন্দ্র ব্যবহার হবে। যাতে ঝড়-বৃষ্টিতে সমস্যা না হয় তার জন্য পূর্ত দফতরকে উঁচু জায়গায় জলরোধী তাঁবু করতে বলা হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এই জেলায় আপাতত ৮-১০হাজার শ্রমিক ফিরতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “যদি বেশি সংখ্যক মানুষ আসে তাই এই অস্থায়ী কেন্দ্র তৈরি করে রাখা হচ্ছে। দু’টি জায়গা বাছাই করা হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy