Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in Midnapore

করোনায় মৃতের নাম বিভ্রাট

ট্রু-ন্যাট পরীক্ষায় রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় ১৯ অগস্ট তাঁকে আইসোলেশন স্ট্রং রুম ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়।

বিনপুরে লাগানো হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র

বিনপুরে লাগানো হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০৪:০৬
Share: Save:

এ বার অভিযোগ করোনায় মৃতের নাম বিভ্রাটের। হাসপাতালের নথিতে নাম সালগান হাঁসদা (৫৮) হলেও পরিজনদের দাবি, মৃতের নাম সালকান হাঁসদা।

বেলপাহাড়ির একটি গ্রামের ওই প্রৌঢ়ের ছেলে ছেলে জানান, মঙ্গলবার সকালে করোনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফোনে বাবার মৃত্যুসংবাদ দেন। শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে ওই প্রৌঢ় গত ১৮ অগস্ট সুপার স্পেশালিটির মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ট্রু-ন্যাট পরীক্ষায় রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় ১৯ অগস্ট তাঁকে আইসোলেশন স্ট্রং রুম ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে আরটিপিসিআরেও রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে জেলা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

সোমবার রাতে প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় প্রৌঢ়কে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। মঙ্গলবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। দেহটি জিপার প্যাক করে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনা হাসপাতালেই রেখে দেওয়া হয়। রাতে দেহ সৎকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম পুরসভাকে। শহরের উপকন্ঠে নহড়খালের ধারে সৎকার হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। এর আগেও করোনায় মৃত দু’জনের এখানেই অন্ত্যেষ্টি করেছিল পুরসভা। তবে বাবার নাম ভুল হওয়ায় চিন্তিত মৃতের ছেলে। তিনি বলেন, ‘‘বাবা কলকাতা কর্পোরেশনের এন্টালির ওয়ার্কশপে মেকানিক্যাল বিভাগের কর্মী ছিলেন। নামের ভুল হলে প্রাপ্য পেতে সমস্যা হবে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য বক্তব্য, ভর্তির সময়ে পরিজনদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নাম লেখা হয়েছিল। মৃতের পরিজনেরা আবেদন করলে মৃত্যুর শংসাপত্রে নাম সংশোধন করে দেওয়া হবে।

মৃতের ছেলে জানান, সালকান হাওড়ার আন্দুলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিয়ে থাকতেন। সেখান থেকেই কর্মস্থলে যাতায়াত করতেন। করোনা আবহে গত মে মাসে সপরিবার বেলপাহাড়ির গ্রামে ফিরে আসেন। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে বেলপাহাড়ির ওদলচুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। পরে তাঁকে ঝাড়গ্রামে ‘রেফার’ করা হয়।

এ দিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে করোনা পরীক্ষায় সমস্য়া হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার নমুনা বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্য়ক্ষ জানিয়েছেন, এ দিন ঝাড়গ্রাম থেকে প্রায় একশোটি নমুনা এসেছে।

জামবনির করোনা আক্রান্ত এক যুবক আবার সুস্থ হয়ে সোমবার ঘরে ফিরলেও পড়শিরা তাঁর পরিবারকে এড়িয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ। করোনা পজ়িটিভ হওয়ায় বিয়ের আসর থেকে ওই যুবককে তুলে সেফ হোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

ওই যুবক বলেন, ‘‘আমি যে সুস্থ, সেই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। ফলে স্বজন, পড়শিদের বোঝাতেও পারছি না যে আমি এখন করোনা-মুক্ত।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in Midnapore Jhargram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE