মাস্ক নেই। ভরসা রুমাল। নিজস্ব চিত্র
করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে ২৮ জনকে নজরবন্দি করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে।
এঁদের সকলেই বিদেশ ফেরত। কেউ চিন কিংবা জাপান, কেউ তাইল্যান্ড কিংবা ইরান থেকে ফিরেছেন। এই সংক্রমণকে ‘প্যানডেমিক’ বা অতিমারী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা- পরিস্থিতির জেরে মাস্ককে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবেও ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এরপরেই মাস্কের আকাল দেখা দিয়েছে জেলায়। বেশিরভাগ এলাকাতেই এন- ৯৫ মাস্ক নেই।
জেলায় মাস্কের ব্যবহার নতুন নয়। গাড়ির ধোঁয়া, পথের ধুলো প্রভৃতি দূষণ ঠেকাতে এমনিতেই কেউ কেউ মাস্ক ব্যবহার করেন। জ্বর, সর্দি, হাঁচি, কাশি সহ নানা সংক্রমণ থেকে বাঁচতেও অনেকে মাস্ক পরেন। তাই অনেক ওষুধের দোকানে, সার্জিক্যাল সরঞ্জামের দোকানে কমবেশি মাস্ক থাকেই। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্কের জোগান প্রায় নেই।
মেদিনীপুরের এক সার্জিক্যাল সরঞ্জাম বিক্রির দোকানের মালিক সোমনাথ সিংহ মানছেন, ‘‘আমাদের কাছে এন- ৯৫ মাস্ক একটাও নেই। বরাত দিয়েও মাস্ক পাচ্ছি না। ক্রেতারা রোজই ফিরে যাচ্ছেন।’’ জেলার এক-এক এলাকায় মাস্কের একের রকম দাম কেন? বিক্রেতাদের দাবি, জোগান স্বাভাবিক না থাকার ফলেই দামের হেরফের হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘মাস্কের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। অহেতুক আতঙ্কের কিছু নেই। ভিড় এড়িয়ে চলা, বারবার হাত ধোয়ার মতো কিছু বিষয়ে মেনে চলতে হবে। তাহলেই শরীর সুস্থ রাখা যাবে।’’ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কেউ অকারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে কালোবাজারি করলে কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ এলেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এন-৯৫ মাস্ক করোনাভাইরাস- সহ বিভিন্ন ফ্লুয়ের ভাইরাসকে ঠেকাতে সক্ষম। এক সময়ে ব্লাড ফ্লুয়ের সংক্রমণ ঠেকাতেও অনেকে এই মাস্ক ব্যবহার করেছেন। শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার জন্য সব মাস্কেই ছিদ্র থাকে। তবে এন- ৯৫ মাস্ক দিয়ে ২.৫ মাইক্রন সাইজের ধূলিকণা কিংবা ভাইরাস সহজে ঢুকতে পারে না। তাই এই মাস্কের চাহিদাই বেশি।
শহরের এক ওষুধের দোকানের মালিকের মন্তব্য, ‘‘আমরা কলকাতা থেকে মাস্ক আনি। শুনেছি এখন কলকাতাতেই না কি খোলাবাজারে এন- ৯৫ মাস্ক ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’’
মাস্কের কালোবাজারি হচ্ছে কেন? তাঁর দাবি, ‘‘এখানে মজুতই নেই। ফলে, কালোবাজারির প্রশ্ন আসে না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy