গুজবের জেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে অবিক্রিত ফুল। বুধবার কোলাঘাট ফুলবাজারে। নিজস্ব চিত্র
বন্ধ থাকবে রাজ্যে ফুলের বৃহত্তম পাইকারি বাজার মল্লিকঘাট ফুলবাজার। কারণ করোনো আতঙ্ক। করোনা নিয়ে এমনই গুজবে কোলাঘাট ফুল বাজারে এক ধাক্কায় দাম পড়ল ফুলের। অবিক্রিত থেকে গেল চলতি মরসুমে সব থেকে বেশি উৎপাদিত গাঁদা ফুল। ফলে ফুল ফেলে রেখেই বাড়িকে ফিরলেন চাষিরা। তবে গুজব বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই মাইকিং করে প্রচার শুরু করেছে মল্লিকঘাট ফুল বাজার পরিচালন সমিতি।
করোনা সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসাবে যে কোনও ধরনের জমায়েত এড়ানো পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বন্ধ বড় জমায়েত, উৎসব, অনুষ্ঠান। আর উৎসব, অনুষ্ঠান মানেই ফুলের প্রয়োজন। কিন্তু সে সব বন্ধ থাকায় ফুলের চাহিদায় টান পড়েছে। ফলে সমস্ত রকম ফুলেরই দাম কমেছে। বুধবার কোলাঘাট ফুল বাজারে ফুল ব্যবসায়ীদের একাংশের বিরুদ্ধে কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার বন্ধ থাকবে এরকম একটি ঘোষণা করা হয় বলে অভিযোগ। চলতি মরসুমে কোলাঘাট ফুল বাজারে গাঁদা ফুল সব চেয়ে বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু ব্যবসায়দের একাংশের এই ঘোষণায় এদিন গাঁদা ফুলের দাম একেবারে তলানিতে নেমে আসে। স্থানীয় সূত্রে খবর বিক্রি না হওয়ায় এদিন ভোরবেলা কোলাঘাট ফুল বাজারে অবিক্রিত গাঁদা ফুল ফেলে দিয়ে ফুলচাষিরা বাড়ি ফিরে যান।
কোলাঘাট ফুল বাজার পরিচালন সমিতির সম্পাদক দিলীপ প্রামাণিক বিষয়টি মল্লিকঘাট ফুল বাজার পরিচালন সমিতির সদস্য তথা সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়েক জানান। নারায়ণবাবু মল্লিকঘাট ফুল বাজার পরিচালন সমিতির সম্পাদককে বিষয়টি জানান। এরপরই মল্লিকঘাট ফুলবাজার থেকে জানানো এটি আসলে গুজব। তারপরই মল্লিকঘাট ফুলবাজারে মাইকে ফুলবাজার বন্ধ রাখা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়ার বিষয়টি প্রচার করা হয়।
কোলাঘাট ফুল বাজার পরিচালন সমিতি সূত্রে খবর, গুজবের জেরে এদিন প্রায় ১৫ কুইন্টাল গাঁদাফুল ফেলে দিতে হয়েছে। পাঁশকুড়ার গাঁদাচাষি শ্যামল পড়িয়া বলেন,‘‘গতকাল ১০ টাকা কেজি গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছিল। আজ সকালে কিছু ফুল ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বাকি ফুল আর বিক্রি হয়নি। তাই ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছি।’’
কোলাঘাট ফুল বাজার পরিচালন সমিতির সম্পাদক দিলীপ প্রামাণিক বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের একাংশ মুনাফার লোভে গুজব ছড়ায়। এতে চাষিরা জলের দরে গাঁদা বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। আগামীদিনে এই ধরনের গুজব রুখতে ফুল বাজারে প্রচার চালানো হবে।’’
নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘ফুলবাজার হল একটি কাঁচা বাজার। করোনার জেরে কাঁচা বাজার বন্ধের কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। তাই ফুল চাষিদের বলা হয়েছে, কোনও গুজবে কান না দিতে। গুজব বন্ধ করতে ফুল বাজারগুলিতে প্রচার শুরু হয়েছে।’’
সিনেমা হল বন্ধ
হলদিয়া : করোনা আতঙ্কে বন্ধ হল হলদিয়ার একটি শপিংমলের সিনেমা হল। শপিং মল বা সিনেমাহল, বাজার অথবা কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে জমায়েত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত হলদিয়ায় ওই শপিংমলের সিনেমা হলটি বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকাল বন্ধ করে দেওয়া হল। উল্লেখ্য, এর আগেই করোনা রোধে একাধিক প্রতিরোধ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল মল কর্তৃপক্ষের তরফে। মলে যাঁরা বেড়াতে আসেন তাঁদের প্রত্যেকের স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত করোনা সচেতনতায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মলের সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy