বিলিবণ্টন হল আইআইটির বাইরেই। নিজস্ব চিত্র
স্কুলগুলিকে দ্বিতীয় দফায় মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিলির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। স্কুলে অভিভাবকদের ডেকে এই কাজ করতে হবে। অথচ খড়্গপুর আইআইটি চত্বরে অবস্থিত স্কুলগুলি এই নির্দেশ কার্যকর করতে পারল না। মহকুমাশাসকের অনুরোধ সত্ত্বেও করোনা পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে বাইরের কাউকে ঢোকার অনুমতি দেননি আইআইটি কর্তৃপক্ষ। অগত্যা আইআইট-র বাইরে রাস্তার ধারেই চাল, আলু ও বই বিতরণ করল সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি।
সোমবার হিজলি জুনিয়ার বেসিক স্কুল কর্তৃপক্ষ এ দিন আইআইটি চত্বরের বাইরে বাইপাস রাস্তার ধারে গাছতলায় এই কর্মসূচি সেরেছেন। গাছতলায় বসেই দ্বিতীয় দফার বইও বিলি করা হয়। একই সঙ্কটে পড়েছে আইআইটি চত্বরে থাকা হিজলি হাইস্কুল। আজ, মঙ্গলবার থেকে হিজলি হাইস্কুল তাঁদের ষষ্ঠ শ্রেণির মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিলি করবে বাইপাস রাস্তার ধারে আইটিআইআই কলেজ থেকে। এই ঘটনায় খড়্গপুর আইআইটি-র ভূমিকা নিয়ে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। দেশ জুড়ে লকডাউন শুরুর আগে প্রথম দফার চাল, আলু বিলিতে অবশ্য এই সমস্যা হয়নি। এখন আইআইটি চত্বরে ঢোকা-বেরনো প্রায় নিষিদ্ধ। খড়্গপুর আইআইটিৃর রেজিষ্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহের যুক্তি, “করোনা সতর্কতা বিধি মেনেই আমাদের প্রতিষ্ঠান চত্ত্বরে আমরা বাইরের লোক ঢোকা বন্ধ করেছি। আর ওই দু’টি স্কুলে তো আমাদের প্রতিষ্ঠান চত্বরের ৫ শতাংশ পড়ুয়া ছাড়া বাকি সকলে বাইরের। বাইরের পড়ুয়া যখন বেশি তখন বাইরেই ওই কর্মসূচি পালন করলেই তো ভাল!”
করোনা সতর্কতায় গত ১৪ মার্চ ক্লাস বন্ধ করেছে খড়্গপুর আইআইটি। তখনই প্রতিষ্ঠানের বাইরে ঢোকা-বেরোনো বন্ধ হয়েছিল। তার পরে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হতেই আরও কড়া হয়েছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। সেই কড়াকড়িতেই বিপাকে পড়েছেন ক্যাম্পাসে থাকা দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ। হিজলি জুনিয়র বেসিক স্কুলের টিচার ইন-চার্জ প্রসেনজৎ দে বলেন, “আইআইটি চত্ত্বরে আমাদের স্কুল হওয়ায় অভিভাবকদের ঢোকার জন্য আমরা আইআইটি কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেছিলাম। মহকুমাশাসকের অনুরোধেও আইআইটি অনুমতি দেয়নি। বাইপাসের ধারে গাছতলায় এই কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।” হিজলি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আইআইটিকে জানিয়েছিলাম। মহকুমাশাসকও বলেছিলেন। তার পরেও আইআইটি করোনা সতর্কতার কথা জানিয়ে সহযোগিতা করেনি।”
এ দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গাছতলায় ৩৩০জন পড়ুয়ার অভিভাবককে মিড-ডে মিলের চাল-আলু বিলি করেছেন হিজলি জুনিয়র বেসিক স্কুল কর্তৃপক্ষ। ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার। স্কুলের টিচার ইন-চার্জ প্রসেনজিৎ বলেন, “এভাবে বাইরে এই কর্মসূচি পালনের জন্য স্কুলের অফিসের সব নথি, বইপত্র বাইরে আনতে হয়েছে। সমস্যা তো হলই!” বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “আইআইটির রেজিষ্ট্রারের সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছিলাম। কিন্তু ওঁরা ওঁদের প্রতিষ্ঠান চত্ত্বরে ওই স্কুল দু’টি থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকদের ঢুকতে দিতে চাননি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy