প্রতীকী ছবি।
অক্টোবর থেকে ঘাটালের দুটি করোনা হাসপাতাল কার্যত ফাঁকা ছিল। ঘাটাল মহকুমাতেও করোনা আক্রান্তের খবর ছিল না। তিন মাস পর গত দু’দিনে অবশ্য ঘাটালে দু’জন করোনা সংক্রমিতের হদিস মিলেছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে মেদিনীপুরে পাঠানো হয়েছে। অন্য একজনের চিকিৎসা চলছে ঘাটালে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও করোনা অতিমারির তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
ঘাটাল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবকটি করোনা হাসপাতালেরই পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ঘাটালে এখন ৫০ শয্যার করোনা হাসাপাতাল চালু রয়েছে। আরও ১০০ শয্যার একটি হাসপাতালের পরিকাঠামোও তৈরি রয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে ঘাটালে করোনা হাসপাতালে কোনও রোগী ছিল না। তবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার পরপর দু’জন করোনা আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন। একজন ঘাটাল ও অন্যজন দাসপুরের বাসিন্দা।
পাশাপাশি বিদেশ থেকে জেলায় কেউ ফিরছেন কিনা, নজরদারি রাখা হচ্ছে। বিদেশ থেকে আগতদের করোনা পরীক্ষাও করা হচ্ছে। ঘাটাল, দাসপুরে ভিন্ রাজ্য থেকে যাঁরা ফিরছেন, নজরদারির আওতায় থাকছেন তাঁরাও। এরই মধ্যে জানুয়ারি মাসের গোড়ায় শিশু মেলা সহ ঘাটালে পরপর মেলা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেলাগুলির ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েও চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, “ঘাটালে একজন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। জেলার পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। তবে বিদেশ থেকে কেউ ফিরলেই তাকে পর্যবেক্ষণে রেখে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভিন্ রাজ্য থেকে কেউ ফিরছেন কিনা, সে দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে জেলায় কেউ ফিরলেই তাঁকে চিহ্নিত করে বাড়িতেই পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। তাঁর করোনা পরীক্ষাও করা হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত এই পর্বে ১১ জন বিদেশ থেকে ফিরেছেন। তাঁরা সকলেই খড়্গপুর ও মেদিনীপুর সদর মহকুমা এলাকার বাসিন্দা। সকলেই সুস্থও রয়েছেন। ঘাটাল মহকুমায় এখনও বিদেশ থেকে কারও ফেরার কোনও খবর নেই। তবে বছরের নানা সময়ে ঘাটাল, দাসপুরের অনেকেই ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেন। বিক্ষিপ্ত ভাবে এখনও ফিরছেন এমন অনেকে। তাঁদের প্রতি নজর রাখতে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তৎপর।
সেই সঙ্গে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল-সহ মহকুমার পাঁচটি গ্রামীণ হাসপাতালেই করোনা পরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এখন গড়ে ঘাটাল সহ-সব হাসপাতালে ৩০-৪০ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। এ বার সংক্রমণ বাড়ার খবরে হাসপাতালগুলিতে আরও বেশি সংখ্যক করোনা পরীক্ষার উপর জোর দিচ্ছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy