নির্মীয়মাণ জেলা কালেক্টরেট। —নিজস্ব চিত্র।
গত পাঁচ বছর ধরে চলছে ঝাড়গ্রাম জেলা কালেক্টরেটের ভবন তৈরির কাজ। এবার দুর্গাপুজোর আগে সেটি চালু হবে? আপাতত সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। অভিযোগ, কাজ চলছে ধীর গতিতে।
রবিবার নির্মীয়মাণ জেলা কালেক্টেরেট ভবনে গিয়ে দেখা গেল, পাঁচ তলা ভবন তৈরির কাজ হয়ে গিয়েছে।সেখানে এ, বি, সি তিনটি ব্লক রয়েছে। জানলা, দরজা, রং, বিদ্যুৎ সংযোগ, সাজানো গোছানোর কাজ অনেকটাই বাকি। ওই ভবন তৈরির দায়িত্বে রয়েছে পূর্ত দফতর। ওই দফতরের আধিকারিকদের আশ্বাস, কয়েক মাসের মধ্যেই সব কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলছেন, ‘‘পূর্ত দফতরের কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। দু’তিন-মাস সময় লাগবে এখনও। পুজোর আগে চালু করার চেষ্টা করছি আমরা।’’
২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ভেঙে ঝাড়গ্রাম জেলা গঠিত হয়। তারপর থেকে সাবেক মহকুমাশাসক অফিসটিই অস্থায়ী জেলা কালেক্টরেট হিসেবে চলছে। ঝাঁ চকচকে পাঁচতলা অত্যাধুনিক প্রশাসনিক ভবন তৈরির জন্য ঝাড়গ্রাম শহরের পশ্চিম প্রান্তের সীমানায় রাজ কলেজের হেলিপ্যাড মাঠটি অধিগ্রহণ করে ভূমি দফতর। তার আগে ওই মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি করেছিল তৎকালীন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। ভিভিআইপি-দের কপ্টার ওই মাঠেই নামত। সেখানে প্রায় ৮ একর জমিতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে জেলা কালেক্টেরট ভবন তৈরির জন্য ২০১৮ সালে টেন্ডার ডাকা হয়। হাওড়ার একটি নির্মাণ সংস্থা কাজের বরাত পায়। বরাদ্দ হয় ৪১ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে জুলাইয়ে ভূমি পুজো করে কাজ শুরু হয়।
ওই বছর নভেম্বরে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেবার ঝাড়গ্রাম শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পুকুরিয়ার রাজপাড়ায় অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়। সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম শহর থেকে দূরে কপ্টার নামায় বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ কলেজের স্থায়ী হেলিপ্যাডে প্রশাসনিক ভবন হচ্ছে জেনে খানিকটা উষ্মাপ্রকাশও করেন তিনি। এরপরেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে কাজ বন্ধের মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর ২০১৮ সালে নভেম্বর মাস থেকে ন’মাস ধরে কাজ বন্ধ ছিল। তারপরে রাজ কলেজের হস্টেল সংলগ্ন কাঁটাবাড়ি এলাকার ফাঁকা জায়গাকে স্থায়ী হেলিপ্যাডের জন্য বেছে নেওয়া হয়। আর প্রস্তাবিত ভবন যেখানে হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরে ফের শুরু হয় কাজ। তবে এরপরে চলে আসে করোনা।
২০২০ সালে লকডাউনের ফলে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পরে ফের ভবনের কাজ চালু হয়। তবে কাজে গতি আসেনি বলেই অভিযোগ। ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল দাস মানছেন, ‘‘অধিকাংশ কাজ হয়ে গেলেও বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে।’’ তাঁর আশ্বাস, বাকি থাকা কাজ কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ করে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy