‘অভিযুক্ত’ ষাঁড়। নিজস্ব চিত্র
সরকারি উদ্যোগে কাঁচা রাস্তা ঢালাই করা হয়েছিল। ঢালাইয়ের পর মুহূর্তেই রাস্তা ভেঙে লণ্ডভণ্ড করে দিল একটি ষাঁড়। মাইশোরার ফকিরবাজার এলাকায় গত কয়েকদিনে ওই ষাঁড়ের তাণ্ডবে আহত একাধিক। কয়েক মাস ধরে এমন অত্যাচারেো শিবের বাহন ভেবে ক্ষমা করেছিলেন এলাকার মানুষজন। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার পর সেই ষাঁড়ের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে নালিশ ঠুকলেন ফকিরবাজারের বাসিন্দারা। ষাঁড়টিকে ধরে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে।
স্থানীয় সূত্রে খবর মাইশোরার ফকিরবাজার গ্রামে বছর তিনেক ধরে একটি ষাঁড় ঘুরে বেড়ায়। প্রথম দিকে ষাঁড়টির শান্ত স্বভাবে খুশিই ছিলেন এলাকার মানুষ। কিন্তু ক্রমশ শরীর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ষাঁড়টি নিজমূর্তি ধারণ করে বলে অভিযোগ। মানুষ দেখলেই তে়ড়ে আসতে শুরু করে। চাষের জমিতে নেমে চাষ লণ্ডভণ্ড করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তা ছাড়া মাটির বাড়ি দেখলে শিং দিয়ে মাটি তেড়ে ঘরের দেওয়ালও ফেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ দাসের অভিযোগ, ‘‘দিন তিনেক আগে ষাঁড়টি আমার মাটির গোয়াল ঘরের একদিকের দেওয়াল গুঁতিয়ে ভেঙে দেয়। বাধা দিতে গেলে আমাকে মাটিতে ফেলে শিং গুঁতিয়ে দেওয়ায় আঘাত পাই।’’ রেখা পাল নামে এক মহিলার অভিযোগ, ‘‘রাস্তায় যখন তখন যাকে তাকে গুঁতিয়ে দিচ্ছে। পায়ে আঘাত পেয়ে বেশ কয়েকদিন শয্যাশায়ী ছিলাম।’’ পরিস্থিতি এমনই যে ষাঁড়ের ভয়ে গ্রামের রাস্তায় লোক চলাচল কমে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে ফকিরবাজার আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের কাঁচা রাস্তা পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ঢালাই হয়। অভিযোহ, ঢালাই শেষে ষাঁড় বাবাজি এসে শিংয়ের গুঁতোয় রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে দেয়। পরের দিন ভাঙা অংশ ফের মেরামত করা হয়। ষাঁড়ের আতঙ্কে রাস্তা তৈরির কাজে আসতে ভয় পাচ্ছেন শ্রমিকেরা। অবিলম্বে ষাঁড়টিকে ধরে অন্যত্র ছেড়ে দিয়ে আসার আর্জি জানিয়ে মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতর পর্যবেক্ষক আফজল শা’কে চিঠি দিয়েছেন গ্রামের মানুষ। দীপক মাইতি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘এলাকায় ষাঁড়ের দাপটে টিকে থাকা দায়। সরকারি উদ্যোগে তৈরি ঢালাই রাস্তা পর্যন্ত ভেঙে দিচ্ছে। বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।’’
ষাঁড়ের বিরুদ্ধে নালিশ কিছুটা তাজ্জবই করেছে মাইশোরা পঞ্চায়েতের পর্যবেক্ষক আফজল শা’কে। তাঁর কথায়, ‘‘ষাঁড়টিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাণী দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy