Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Community Kitchen

বন্ধ শ্রমজীবী ক্যান্টিন, খোঁচা

ঝাড়গ্রাম বাজারে যে সব শ্রমজীবী মানুষ আসেন, তাঁরাই মূলত ক্যান্টিন থেকে খাবার পান।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ০৪:১৮
Share: Save:

৫৭তম দিনে ছন্দপতন! বামপন্থী সংগঠনের ডাকা বৃহস্পতিবারের সাধারণ ধর্মঘটে বন্ধ থাকল বামেদেরই উদ্যোগ— ঝাড়গ্রামের শ্রমজীবী ক্যান্টিন। আর তা নিয়ে আসরে বাম-বিরোধীরা।

শ্রমজীবী মানুষজনকে নামমাত্র দরে দুপুরের খাবার দেওয়ার এই আয়োজন গত ১ অক্টোবর শুরুর পর একদিনও বন্ধ থাকেনি। এখান থেকে রোজ বিনামূল্যে কয়েকজন দরিদ্র ভবঘুরেও খাবার পান। শেষে সিপিআইয়ের ছাত্র-যুব সংগঠন পরিচালিত এই ক্যান্টিন ধর্মঘটে বন্ধ থাকায় কটাক্ষ করতে ছাড়তে না তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন এবং বিজেপি। আইএনটিটিইউসি-র জেলা নেতা গৌরাঙ্গ প্রধান বলেন, ‘‘বামেদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। গরিব শ্রমজীবী মানুষকে উপোস করিয়ে রেখে ওরা প্রমাণ করে দিয়েছে, শ্রমজীবী ক্যান্টিন আসলে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি। জনসেবার উদ্দেশ্যে ক্যান্টিন হয়নি।’’ বিজেপি-র জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীও বলছেন, ‘‘তৃণমূলের কাছ থেকে অক্সিজেন পেয়ে বামেরা ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে। শ্রমজীবী মানুষকে প্রতিদিন খাবার দেওয়ার কথা বলে যাঁরা ধর্মঘটের দিনে ক্যান্টিন বন্ধ রাখে, তাঁদের উদ্দেশ্যটা যে কী সেটা সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছেন।’’

ঝাড়গ্রাম শ্রমজীবী ক্যান্টি‌ন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সিপিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এআইএসএফের রাজ্য সহ-সম্পাদক প্রতীক মৈত্র বলেন, ‘‘ধর্মঘটে ক্যান্টিন বন্ধ রাখার কথা এক সপ্তাহ আগে থেকে ক্যান্টিনের নোটিস বোর্ডে জানানো হয়েছিল। শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থেই দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম বাজারে যে সব শ্রমজীবী মানুষ আসেন, তাঁরাই মূলত ক্যান্টিন থেকে খাবার পান। এ দিন ধর্মঘটে তাঁরা শহরে আসেননি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Community Kitchen CPM Strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy