—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিগত কয়েক বছরে ‘হ্যান্ডমেড জুয়েলারি’র চাহিদা বেড়েছে লক্ষ্যণীয় ভাবে। সেই চাহিদাকে মাথায় রেখে ক্রেতাদের পছন্দসই গয়না বানিয়ে লাভের মুখ দেখছেন বেলদার দুই কলেজ ছাত্রী।
বেলদা কলেজের প্রথম বর্ষের দুই ছাত্রী ভাস্বতী সাহু ও অনুভা সেন পড়াশোনার ফাঁকে বরাত অনুযায়ী ক্রেতাদের পছন্দসই গয়না বানিয়ে বাড়িতে বসেই উপার্জন করতে পারছেন। এ বারই উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে বেলদা কলেজে পড়াশোনা শুরু করেছেন তাঁরা। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরোনোর ফাঁকেই ‘হ্যান্ডমেড’ গয়না বানানোর দিকে ঝুঁকেছিলেন দু’জন। সেই মতো কাজ শুরু করেন তাঁরা। এ বার দুর্গাপুজোয় বরাত অনুযায়ী ক্রেতাদের বহু সামগ্রীর জোগান দিতে পেরেছেন তাঁরা। হচ্ছে লক্ষ্মীলাভও। তাঁদের কথায়, ‘‘বাড়িতে বসে না থেকে পড়াশোনার ফাঁকে এই কাজ করে উপার্জন করতে পারছি।’’
বেলদার ছোটমাতকাতপুরের বাসিন্দা দু’জনেই। দুই বন্ধু এক জায়গায় বসেই কাজ করেন। কলেজের পড়াশোনা সামলে বাকি সময়ে চলে মহিলাদের হাতের চুড়ি, গলার হার, কানের দুলের নকশা নিয়ে ভাবনাচিন্তা এবং তা বানানোর কাজ। উপকরণ হিসেবে সুতো, কাপড়, পুতি, জরি, কাচ, পাট-সহ নানা সামগ্রী ব্যবহার করেন তাঁরা। এখনও যদিও অনলাইনে বিক্রির দিকে পা বাড়াননি দুই যুবতী। আপাতত পরিচিত ও বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যেই চলছে বিক্রি-বাট্টা।
তাঁরা জানালেন, এ পর্যন্ত বেশ কয়েক হাজার টাকার সামগ্রী বিক্রি করেছেন তাঁরা। তাঁদের হাতে বানানো এই প্রসাধনী সামগ্রীর দাম ৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। ভাস্বতী ও অনুভা বলছিলেন, ‘‘একটা সময় নিজেদেরই স্বনির্ভর হতে হয়। কতদিন আর পরিবারের কাছে টাকা চাইব। তাই নিজেরা কিছু করে রোজগার করতেই এই ভাবনা। আর এখান থেকেই মিলছে লাভও। আগামী দিনেও এই কাজ নিয়েই থাকতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy